শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
কিন্তু ঘোষণা কার্যকরে পাঁচ মাস কেটে গেল কেন? দেরির কারণ হিসেবে ভবিষ্যনিধি সংগঠন সূত্রে সাফাই দেওয়া হয়েছে লোকসভা ভোটের। দেশে আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর থাকার কারণেই নাকি সুদের টাকা জমা করা যায়নি। লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হয়েছে ১৬ মার্চ। ততদিন এই ঘোষণা কার্যকর করা গেল না কেন? আর এখনই বা কেন আচরণবিধির সাফাই দেওয়া হচ্ছে?
নিয়ম মতো ইপিএফের সুদের ব্যাপারে ভবিষ্যনিধি সংগঠনের অছি পরিষদ যে সিদ্ধান্ত নেয়, তা সুপারিশ আকারে অর্থমন্ত্রকে পাঠাতে হয়। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পরেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় বিজ্ঞপ্তি জারি করতে পারে শ্রমমন্ত্রকের অধীন ইপিএফও। সরকারি সূত্রের খবর, অবশেষে অর্থমন্ত্রকের সেই ফাইল নড়েছে। আর সেইমতো তৎপরতাও শুরু হয়েছে শ্রমমন্ত্রকের অন্দরে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ভবিষ্যনিধি সংগঠনের এক শীর্ষ কর্তা রবিবার ‘বর্তমান’কে জানিয়েছেন, ‘ইতিমধ্যেই নতুন হারে সুদ প্রদানের সংশ্লিষ্ট প্রক্রিয়া শুরু করে দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই গ্রাহকরা সুখবর পাবেন।’ সেক্ষেত্রে মনে করা হচ্ছে, জুলাই মাসে ২০২৪-২৫ আর্থিক বছরের পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশের আগেই গ্রাহকদের অ্যাকাউন্টে নতুন হারে পিএফের সুদের টাকা জমা করবে কেন্দ্রের এনডিএ সরকার। তারপরও অবশ্য সংশয় কাটছে না মধ্যবিত্তের। মোদি জমানার প্রবণতাই হল, পিএফের প্রাপ্য সুদের টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে টালবাহানা। প্রতি বছর কখনও নভেম্বর, কখনও জানুয়ারি মাসে এই টাকা অ্যাকাউন্টে পৌঁছয়। সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠন এআইইউটিইউসির শীর্ষ নেতা দিলীপ ভট্টাচার্য বলেন, ‘প্রতিবার কেন্দ্র এই সমস্যা তৈরি করে। অর্থমন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদনের নামে ইপিএফের সুদ দিতে বেজায় টালবাহানা করতে থাকে। আর ভোগান্তির শিকার হতে হয় গ্রাহকদের।’ রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন, এবার তাহলে হল কী? জোট সরকারের আতঙ্ক?