অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
দেশের বর্তমান করোনা আবহে পশ্চিমবঙ্গের সংশ্লিষ্ট প্রকল্পগুলির কাজ সময়ে শেষ করা নিয়ে সংশয় একেবারে চরমে উঠেছে। সরকারি সূত্রে অবশ্য বারবার দাবি করা হচ্ছে, আশঙ্কার কোনও কারণ নেই। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই শেষ হবে নমামি গঙ্গের যাবতীয় প্রকল্পের কাজ।
গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নমামি গঙ্গে কর্মসূচির বিভিন্ন প্রকল্প রূপায়ণ সংক্রান্ত রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসের রিপোর্টটি খতিয়ে দেখে বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলার এমন বহু প্রকল্প রয়েছে যেগুলিতে ফেব্রুয়ারি মাসে অগ্রগতির যা হার, মার্চ মাসেও তার বিন্দুমাত্র পরিবর্তন হয়নি। যেমন বহরমপুর এবং জঙ্গিপুর পুরসভার প্রকল্প। দু’টি পুর এলাকা মিলিয়ে সংশ্লিষ্ট গঙ্গার দূষণমুক্তি প্রকল্পের অগ্রগতির হার মার্চ মাসে পাঁচ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসেও এর হার ছিল পাঁচ শতাংশ। আবার বারাকপুর-কাঁচরাপাড়ায় নমামি গঙ্গের আওতায় থাকা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের (এসটিপি) অগ্রগতির হার মার্চ মাসের হিসেবে ৩৫ শতাংশ। ফেব্রুয়ারি মাসের নিরিখে এই প্রকল্পেরও কোনও অগ্রগতি হয়নি।
নবদ্বীপ পুরসভা এলাকায় নমামি গঙ্গের যে প্রকল্পটি রয়েছে, তার অগ্রগতির হার ফেব্রুয়ারি মাসে যা ছিল, মার্চ মাসেও তাই আছে। ৬৫ শতাংশ। একই পরিস্থিতি চন্দননগর, বাঁশবেড়িয়া, উত্তরপাড়া-কোতরং-কোন্নগর, বৈদ্যবাটী, ভদ্রেশ্বর, শ্রীরামপুর ও চাঁপদানি পুর এলাকার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্পেরও। ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে এক্ষেত্রে অগ্রগতির হার ২০ শতাংশ। নৈহাটি, গারুলিয়া, টিটাগড়, পানিহাটি ও খড়দহ পুর এলাকায় নমামি গঙ্গে কর্মসূচির আওতায় থাকা প্রকল্পের অগ্রগতির হার উল্লিখিত দুই মাসেই ২০ শতাংশ। গত ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্র জানিয়েছে, নমামি গঙ্গের আওতায় নিকাশি পরিকাঠামোর উন্নয়ন সংক্রান্ত মোট ২৩টি প্রকল্প রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। সবমিলিয়ে যার প্রকল্প খরচ ৩ হাজার ৮৮৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে তিনটি প্রকল্প। দরপত্র আহ্বান করার প্রক্রিয়া চলছে সাতটি ক্ষেত্রে। আর কাজ চলছে বাংলার মোট ১৩টি প্রকল্পে।