আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
ফল চাষিরা জানিয়েছেন, প্রতিবছর যে পরিমাণ আমের মুকুল ধরে, এ বছর তার তুলনায় মুকুল অনেক কম ধরেছে। বিশেষ করে তীব্র তাপপ্রবাহে অনেক গাছের আমের মুকুলে ঝরে গিয়েছে। তেমন বৃষ্টিও হয়নি। একই অবস্থা লিচুতেও। এবার গ্রীষ্মে মরশুমি ফলের ফলন আশানুরূপ হবে না বলে শঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলন কম হওয়ায় চাহিদার সঙ্গে দামও বাড়তে পারে বলে অভিমত তাঁদের। জঙ্গিপুর মহকুমা উদ্যানপালন বিভাগের আধিকারিক, সুবর্ণা চক্রবর্তী বলেন, এবছর আমের অফ ইয়ার হওয়ায় ফলন কম হয়েছে। এছাড়া তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টি না হওয়াও একটা কারণ। ফলন কম হওয়ায় আম ও লিচুর দাম বাড়তে পারে।
চলতি বছরে মালদহ জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলাতে ও আমের আকাল দেখা দিতে পারে। ফলন কম হওয়ায় এবছর চড়তে পারে আমের দামও। ফলে আমের স্বাদ পেতে আমজনতার পকেটে এবার ভালোই চাপ পড়বে। এবার লিচুর ফলনও কমে হয়েছে। কোনও কোনও বাগানে অন্যান্যবারের চেয়ে অর্ধেকের কম ফলন হয়েছে। তাতে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। ইতিমধ্যেই আঁটি লিচু উঠতে শুরু করেছে। কয়েকদিন পর ‘বোম্বাই’ও উঠতে শুরু করবে। বাজারে যে আম পাওয়া যাচ্ছে তাতে স্বাদ নেই, আবার দামও চড়া। ১২০-১৫০ টাকা কিলো। আবার কাঁচা পাকা টকমিষ্টি লিচুর দামও শতেকে ১২০-১৪০ টাকা। চাষিরা বলেন, এবার লিচু গাছে ফুল তেমন আসেনি। তাছাড়া কালবৈশাখীর ঝড়ে বহু লিচু কাঁচা অবস্থায় পড়ে গিয়েছে। দু’একদিনের শিলাবৃষ্টিতে ও নিচু এলাকায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
মুর্শিদাবাদ জেলার ফরাক্কা, সামশেরগঞ্জ, সূতি, জঙ্গিপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় আম ও লিচুর চাষ হয়। সবচেয়ে বেশি বাগান রয়েছে ফরাক্কা এলাকায়। এই জেলা থেকে লিচু রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় যায়। আবার ভিন রাজ্যেও এই ফল পাঠানো হয়। রঘুনাথগঞ্জের লিচু চাষি নাজাবুল শেখ বলেন, অন্যান্যবার আমার পাঁচ বিঘা জমিতে প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লক্ষ লিচুর উৎপাদন হয়েছিল। এবার হয়তো দু’লক্ষ লিচুও পাওয়া যাবে না।