সংবাদদাতা, করিমপুর: তৃতীয় ও চতুর্থ দফার ভোট শেষ হতেই এখন শুধু ফলাফলের প্রতীক্ষা। তার মধ্যেই করিমপুরে শুরু হয়েছে ভোটের ফলাফল নিয়ে জোর চর্চা। এবারের ভোটে কে জিতবে আর কে হারবে, তা নিয়ে বন্ধুদের মধ্যে বাজি ধরাও চলছে। কোথাও বাজি নগদ পাঁচশো টাকা, আবার কোথাও বাজি পিকনিকের জন্য প্রয়োজনীয় খাসির মাংস জোগান দেওয়া। এছাড়াও আলোচনার মধ্যে থাকছে কোন বুথে কোন দল কত ভোট পেতে পারে। আলোচনায় সরগরম করিমপুরের পার্টি অফিস থেকে চায়ের দোকান, পাড়ার মাচা সর্বত্র।  করিমপুরের এক ব্যবসায়ী দীপক মণ্ডল জানান, ‘আমাদের বন্ধুদের মধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সমর্থক রয়েছে। কে জিতবে, তা নিয়ে নানা জনে নানা মত দিয়েছে। তাই আমরা বাজি লড়েছি, যারা হারবে, তারা পিকনিকে প্রয়োজনীয় খাসির মাংসের খরচ দেবে।’ ভোটের ফলাফল নিয়ে একটি দু’টি নয়, ছোট বড় এমন বাজি ধরা চলছে বহু জায়গায়। করিমপুর ১ ব্লকের ৮টি ও ২ ব্লকের ৬টি পঞ্চায়েত মুর্শিদাবাদ লোকসভার মধ্যে পড়ে। আবার করিমপুর ২ ব্লকের ৪টি পঞ্চায়েত তেহট্ট বিধানসভা তথা কৃষ্ণনগর লোকসভার অধীনে পড়ে। ‌গত ৭ মে মুর্শিদাবাদ লোকসভা এবং ১৩ মে কৃষ্ণনগর লোকসভার ভোট শেষ হয়েছে। কেউ বলছেন, এবারে মুর্শিদাবাদ লোকসভায় ত্রিমুখী লড়াই হবে। এখানে তৃণমূল যেমন জয়ের ব্যাপারে প্রত্যাশী, তেমনি জোট প্রার্থী মহম্মদ সেলিম জিতবেন বলেও আশাবাদী সিপিএম ও কংগ্রেস। আগের লোকসভা ভোটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করিমপুর বিধানসভায় তৃণমূল এগিয়ে ছিল এবং দ্বিতীয় স্থানে ছিল বিজেপি। কিন্তু এবার চতুর্থ স্থানে থাকা সিপিএম অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে বলে দাবি করছে সিপিএম। করিমপুর ২ এরিয়া কমিটির সম্পাদক লিয়াকত হোসেন বলেন, ‘এবার সিপিএম প্রার্থী করিমপুর এলাকায় ব্যাপক ভোট পেয়েছেন। অন্য দলে চলে যাওয়া বাম ভোট যেমন ফিরে এসেছে, তেমনি কংগ্রেসের ভোটও আমাদের পক্ষে গিয়েছে। সব মিলিয়ে মুর্শিদাবাদ লোকসভায় মহম্মদ সেলিম জয়ী হবেন।’