বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
যদিও বিষয়টি নিয়ে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর বা প্রশাসনের আধিকারিকরা সংবাদ মাধ্যমের কাছে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁদের দাবি, যা বলার তা রাজ্য স্বাস্থ্য বুলেটিনেই বলা হবে।
এদিকে, বিজেপির রাজ্য কিষাণ মোর্চার সদস্য তথা ছাতনার বাসিন্দা জীবন চক্রবর্তী বলেন, একসঙ্গে ১২ জন আক্রান্ত হওয়ার পরেও প্রশাসন সেই খবর চাপার চেষ্টা করছে। প্রশাসন প্রতিদিন সঠিকভাবে রিপোর্ট প্রকাশ না করার জন্যই জেলাজুড়ে নানা ধরনের গুজব ও বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ তারিখ ছাতনার দু’জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এদিন জেলায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৫। তাঁদের মধ্যে পাত্রসয়রের এক কিশোরকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ মে মহারাষ্ট্র থেকে ছাতনা ব্লকের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা এক মহিলা ও ১১ জন যুবক বাড়ি ফেরেন। ওইদিনই ছাতনা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে তাঁদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ওই নমুনা বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, সবার শরীরেই ভাইরাস রয়েছে। রাতেই বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি স্বাস্থ্যদপ্তর ও জেলা প্রশাসনকে জানায়। তারপরেই সময় নষ্ট না করে গভীর রাতেই করোনা আক্রান্তদের বাড়ি থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে দুর্গাপুরের করোনা হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
অন্যদিকে, রাতেই ছাতনা ঢোকার মূল রাস্তাগুলিতে নাকা চেকিং চালু করা হয়। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঢোকা বেরনো বন্ধ করে দেয় পুলিস। এদিন সকাল থেকেও ছাতনা ব্লকজুড়ে লকডাউন কঠোরভাবে কার্যকর করতে পুলিস রাস্তায় নামে। পুলিস সুপার কোটেশ্বর রাও, অতিরিক্ত পুলিস সুপার শ্যামল সামন্ত সহ জেলা পুলিসের আধিকারিকরা রাস্তায় নেমে নাকা চেকিংয়ের মাধ্যমে যানবাহন ও আম জনতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করেন।