বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় মোট ৪৭হাজার পরিযায়ী শ্রমিক বাড়ি ফিরে এসেছেন। গত কয়েকদিনে জেলায় আটজন পরিযায়ী শ্রমিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সবং, পিংলা, নারায়ণগড়, দাঁতন প্রভৃতি জায়গা থেকে প্রচুর সংখ্যক যুবক মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, কেরল এবং গুজরাতে কাজ করতেন। তাঁরা লকডাউনে বাড়ি ফিরে এসেছেন। এখনও অনেকে আসছেন। ভিনরাজ্য থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন এবং জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর।
এদিকে বুধবার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় নতুন করে পাঁচজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভগবানপুর-১ব্লকের কাজলাগড় পঞ্চায়েতের নারায়ণদাঁড়ি গ্রামের ৫২বছর বয়সি এক প্রৌঢ় করোনা আক্রান্ত। এছাড়া পটাশপুরের সেলামপুর গ্রামে পরিযায়ী শ্রমিক পরিবারের এক বধূ আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যদিকে, হলদিয়ার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ধান্যঘাটা এলাকায় পথদুর্ঘটনায় জখম এক ব্যক্তি কলকাতা বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি থাকাকালীন তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
এর পশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের মিসরিচক গ্রামের ১৭বছর বয়সি এক কিশোর এবং ঘাটাল ব্লকের কামারগেড়্যা গ্রামে ৪৮বছরের এক ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তিনজনকেই বুধবার পাঁশকুড়ার মেচগ্রামে বড়মা মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভগবানপুর এবং কেশপুরের আক্রান্ত দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক। মহারাষ্ট্র থেকে আরও বেশ কয়েকটি ট্রেন পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রওনা দিয়েছে। খড়্গপুর এবং হাওড়ার দুই মেদিনীপুরের কয়েকশো পরিযায়ী শ্রমিক নামবেন। তাঁরা ফিরে আসার পর পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে দুই মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্যদপ্তর।
গত ২১মে মহারাষ্ট্র থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ৩০জন পরিযায়ী শ্রমিক বাস ভাড়া করে বাজকুলে নামেন। সেখান থেকে পাঁচজন নারায়ণদাঁড়ি গ্রামে হেঁটে যান। ওই পাঁচজন স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। তাঁদের মধ্যে একজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। তাঁকে মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এনিয়ে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় টানা চারদিন করোনা আক্রান্তের ঘটনা ঘটল। পূর্ব মেদিনীপুরের সিএমওএইচ নিতাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, এদিন ভগবানপুরে, পটাশপুরে ও কলকাতায় চিকিৎসাধীন একজন সহ মোট তিনজনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।
কেশপুর ব্লকের মিসরিচক গ্রামের ১৭বছর বয়সি কিশোর গত ২৪তারিখ দিল্লি থেকে এসেছিল। বুধবার ওই কিশোরের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। আক্রান্ত কিশোর সহ মোট তিনজন কেশপুরে পাহাড়চক প্রাইমারি স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। আক্রান্ত কিশোরের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এলাকাটি সিল করেছে প্রশাসন।
ঘাটালের কামারগেড়্যা গ্রামের করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি একটি করাত কলের মালিক। বেশকিছু দিন ধরে তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি চিকিৎসার জন্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসা করিয়ে বাড়ি ফিরে আসেন। কলকাতার সেই বেসরকারি হাসপাতালে তাঁর নমুনা নেওয়া হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তাঁর পজিটিভ রিপোর্ট আসে। রাতেই আক্রান্তকে মেচগ্রামে করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার এলাকাটিকে কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। শনিবার আক্রান্তের পরিবারের সাত সদস্যকে মেদিনীপুরে করোনা লেভেল-১হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, কেশপুর এবং ঘাটালে দু’জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।