বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এপ্রিল মাসের শেষ দিকে বীরভূমে করোনা আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া যায়। সেই সময় একসঙ্গে তিনজনের শরীরে মারণ করোনা ভাইরাসের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল। পরে তা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে। বর্তমানে বীরভূমে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা জেলায় হাফ সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে। বুধবারই জেলায় একসঙ্গে ২৪জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পজিটিভি এসেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। তাই হাসপাতালে রোগীদের ভর্তি করা নিয়ে এবার উদ্বেগ বেড়েছে।
বর্তমানে জেলার করোনা আক্রান্তদের বোলপুরের কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। কিন্তু, সেই হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে চলেছে। তাই বিকল্প হাসপাতালের ব্যবস্থা করছে প্রশাসন। সেইজন্য বুধবার স্বাস্থ্যদপ্তরের কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।
বৈঠক শেষে জেলা পরিষদের মেন্টর জানিয়েছেন, বর্তমানে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চলছে। তাই এই লড়াইয়ের বিরুদ্ধে আর কী কী ব্যবস্থা নিতে হবে সেই নিয়ে এদিন আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তার ফলে রিপোর্টও পজিটিভ আসছে। তাই প্রত্যেকেরই চিকিৎসার প্রয়োজন। সেইজন্য বোলপুরের কোভিড হাসপাতালের পাশাপাশি রামপুরহাটের একটি হাসপাতালেও ভর্তি করা হবে। সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
মেন্টরের দাবি, বোলপুরের কোভিড হাসপাতালে ৪০টি শয্যা রয়েছে। তাই ওই হাসপাতালের পাশাপাশি রামপুরহাটের বেসরকারি হাসপাতালকেও তৈরি করা হচ্ছে। সেখানেও ৪০টি শয্যা রয়েছে। ওই হাসপাতালে আরও কিছু যন্ত্র বসিয়ে প্রস্তুত করার জন্য রাজ্যের কাছে স্বাস্থ্যদপ্তর আবেদন করবে। যাতে করোনার চূড়ান্ত চিকিৎসা করা যায় সেই ব্যাপারে স্বাস্থ্যদপ্তরের অনুমোদন মিললেই পরিষেবা শুরু হয়ে যাবে। দু’টি হাসপাতাল মিলিয়ে ৮০টি শয্যা আমাদের প্রস্তুত থাকবে। তাছাড়া দুর্গাপুরের হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে। সেখানে রোগীদের নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতি শুরু হওয়ার প্রথম দিকে বীরভূম জেলা প্রশাসন বোলপুর ও রামপুরহাটে দু’টি বেসরকারি হাসপাতালে বেছে নেয়। জেলা সদর শহর সিউড়িতে অবশ্য করোনা চিকিৎসার জন্য কোনও হাসপাতালকে এই তালিকায় রাখা হয়নি। মেন্টরের দাবি, সিউড়িতে জনবহুল এলাকার মধ্যে নার্সিংহোমগুলি থাকায় করোনা চিকিৎসার ব্যবস্থা রাখা হয়নি।