বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে প্রায় তিনমাস ধরে লকডাউন চলছে। দীর্ঘদিন বাস-ট্রেন সহ সমস্ত পরিবহণ বন্ধ ছিল। তার ফলেই বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছিলেন পরিযায়ী শ্রমিকরা। সরকারের পক্ষ থেকে ধীরে ধীরে তাঁদের বাড়ি ফেরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেইমতো অন্যান্য রাজ্যে কর্মরত বীরভূমের পরিযায়ীরা ফিরে আসতে শুরু করেছেন। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০মে থেকে বুধবার পর্যন্ত বোলপুর মহকুমায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক এসেছেন। তার মধ্যে নানুর ব্লকে ৪৩০০জন, লাভপুরে ২৬০০জন, এছাড়াও ইলামবাজার, বোলপুর ও পাড়ুই এলাকায় প্রায় ২০০০জন এসেছেন। তাঁদের সকলেরই থার্মাল স্ক্রিনিং সহ শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে। তার সঙ্গেই প্রত্যেকের লালারস সংগ্রহ করে পাঠানো হয়েছে। আপাতত তাঁরা হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। তবে, প্রত্যেকের রিপোর্ট এখনও এসে পৌঁছয়নি। তাই স্পষ্টভাবে জানা যাচ্ছে না বাড়ি ফেরত এই পরিযায়ী শ্রমিকদের কতজন সংক্রামিত। তার ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বোলপুর মহকুমা এলাকার বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই মহকুমার বোলপুর ও নানুর থানা এলাকায় কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বোলপুর থানা এলাকায় আক্রান্ত ব্যক্তি বাদে বাকি সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক। তাই আগামীতে সংক্রমণ বেড়ে যাবে কি না তা নিয়েই উৎকণ্ঠা বাড়ছে। অন্যদিকে, পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসার পর হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার কথা। কিন্তু, বিভিন্ন জায়গায় পরিযায়ীরা বাড়ির বাইরে ঘোরাঘুরি করছেন। তাই তাঁদের উপর নজরদারি চালানোর জন্য প্রত্যেক অঞ্চলের তৃণমূল নেতৃত্ব দায়িত্ব নিয়েছেন। শ্রমিকরা ঠিকভাবে হোম কোয়ারেন্টাইনের নিয়ম মেনে চলছে কি না তার রিপোর্ট ব্লক নেতৃত্বকে জানাবেন গ্রামের সদস্যরা। যদিও পুলিস ও প্রশাসন সবরকমভাবে সচেষ্ট। সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক ও সচেতন থাকার আবেদন করছে পুলিস প্রশাসন। বাইরে থেকে কোনও ব্যক্তি তাঁদের এলাকায় প্রশাসনের নজর এড়িয়ে চলে এলে তাঁর ব্যাপারে খবর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। কিন্তু, এত কিছুর পরও সাধারণ মানুষের মন থেকে করোনার আতঙ্ক সরছে না।
বোলপুর মহকুমার এক পুলিস আধিকারিক জানিয়েছেন, বাইরের রাজ্য ও জেলা থেকে যে সমস্ত মানুষ আসছেন তাঁদের সকলের শারীরিক পরীক্ষা করা হচ্ছে। সবরকমভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে সংক্রমণ যাতে ছড়িয়ে না পড়ে।