বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে বেশিরভাগই মুম্বই থেকে ফিরে আসা শ্রমিক। জেলায় আগে যাঁরা ফিরে এসেছেন তাঁদের লালারস সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যকর্মীরা ল্যাবে পাঠিয়েছেন। এখনও অনেকেরই লালারসের নমুনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে জমা রয়েছে। তারপর আবার একদিনে এত সংখ্যক শ্রমিক ফিরে আসায় পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে আধিকারিকরা চিন্তায় রয়েছেন। প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে ভিডিও বার্তা দিয়ে কংগ্রেস দাবি করে মুম্বই সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে শ্রমিকদের ফেরাতে তাদের নেতা অধীর চৌধুরী বেশি তৎপর। ট্রেন দেওয়ার বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথোপকথনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর অনুগামীরা শেয়ার করেন।
যদিও মুম্বই থেকে একের পর এক ট্রেন আসতে থাকায় জেলার বাসিন্দাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। তাঁদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, ‘হাইরিস্ক জোন’ গুলি থেকে শ্রমিকদের এখনই না ফিরিয়ে সেখানেই আরও কিছু দিন তাঁদের থাকার বন্দোবস্ত করা নিয়ে কেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা সোচ্চার হলেন না। সেখানে তাঁদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা নিয়ে তিনি কেন কেন্দ্রের দ্বারস্থ হলেন না তা নিয়েও অনেকেই সরব হয়েছেন। সেটা হলে জেলার পরিস্থিতি এতটা খারাপ হতো না বলে তাঁদের মত। তৃণমূলের মুখপাত্র অশোক দাস বলেন, কংগ্রেসের ওই নেতার সঙ্গে বিজেপির কী সখ্য রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। রেলমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফোন করে তিনি বাহবা দিচ্ছেন। আর রাজ্যের বদনাম করছেন। শ্রমিকদের পাশে আমাদের সরকারই রয়েছে। তাঁদের জন্য বিভিন্ন প্রকল্প চালু হয়েছে। আর উনি দিল্লিতে বসে বড় বড় কথা বলছেন। কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, আমাদের নেতা পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানোর জন্য অনেক আগেই সরব হয়েছিলেন। তখন ফেরানো হলে এই পরিস্থিতি হতো না।
প্রশাসন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুম্বই থেকে ফিরে আসা প্রতিটি শ্রমিকের লালারস পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আক্রান্তদের পরিবারের লোকজনদেরও হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর বুলেটিন দিয়ে জানিয়েছে, মহারাষ্ট্র, গুজরাত, চেন্নাই সহ বিভিন্ন রাজ্য থেকে ফিরে ৩৫ হাজার ৮৪০ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। বিভিন্ন জেলা থেকে ফিরে ঘরবন্দি রয়েছে দু’হাজার ৫৯৫ জন। কোভিড হাসপাতালে ৫১ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। জেলায় দু’জন করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, মুর্শিদবাদে নবগ্রাম, রঘুনাথগঞ্জ ব্লক, ডোমকল এবং কান্দি মহকুমায় আক্রন্তের সংখ্যা বেশি।