আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
উনিশের লোকসভা ভোটে প্রবল মোদি হাওয়ায় এখানে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে পদ্ম শিবির। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে ইংলিশবাজার বিধানসভা কব্জা করলেও সেই মোদি হাওয়া সর্বত্র কার্যকর হয়নি। পাশাপাশি, সর্বত্র সংগঠনই গড়তে পারেনি পদ্ম শিবির। ফলে ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগেও এজেন্ট জোগাড় করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে গেরুয়া বাহিনীকে।
মানিকচক, ইংলিশবাজার, মোথাবাড়ি, সুজাপুর, বৈষ্ণবনগর, ফরাক্কা ও সামশেরগঞ্জ, এই সাত বিধানসভা কেন্দ্র নিয়েই গঠিত এই লোকসভা আসনটি। দলীয় সূত্রের খবর, এখানে মোট বুথের সংখ্যা ১৭৫৯টি। যার মধ্যে সংখ্যালঘু প্রধান সুজাপুর, ফরাক্কা, মোথাবাড়ি, সামশেরগঞ্জ এলাকায় বুথের সংখ্যা ৯৫৬টি। এর মধ্যে ৪৫০টি বুথে এজেন্টই জোগাড় হয়নি বিজেপির। দলীয় সংগঠন তৈরি না হওয়ায় জন্যই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধুমাত্র হিন্দুত্বের হাওয়ায় আস্থা রেখেই ময়দানে নামা হয়েছে।
বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর নির্বাচনী এজেন্ট সুব্রত কুণ্ডু অবশ্য বলেন, প্রায় তেরশো বুথে এজেন্ট দেব। সংখ্যালঘু প্রধান কিছু এলাকায় হয়তো এজেন্ট দিতে পারব না। তবে সেই সমস্যা মেটানোরও চেষ্টা চলছে। বিজেপির দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তনু ঘোষ অবশ্য বলেন, সংখ্যালঘু এলাকায় দলের কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যের শাসক তৃণমূলের ভীতি প্রদর্শনের জেরেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বুথ এজেন্ট হতে চাইছেন না।
এই কেন্দ্রের প্রার্থীকে নিয়েও পদ্ম শিবিরের অন্দরে রয়েছে চাপা অসন্তোষ। দলের একাংশের প্রার্থী না পসন্দ। প্রার্থী বদলের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কাছে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন তাঁরা। সুবিচার না পেয়ে এখন ভোটের ময়দানে সেভাবে সক্রিয় নন। কারও উপস্থিতি আনুষ্ঠানিকমাত্র। কেউ কেউ আবার সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। ভোট প্রচারের শেষদিনেও ভিড় হয়নি। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ, প্রার্থী ইংলিশবাজারের বিধায়ক। দীর্ঘদিন তাঁকে এখানে দেখাই যায়নি। এজন্যই তাঁকে মেনে নিতে সমস্যা হচ্ছে।
এনিয়ে একাধিকবার ফোন করেও বিজেপি প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়েও মেলেনি প্রতিক্রিয়া। তাঁর নির্বাচনী এজেন্ট অবশ্য বলেন, কেউই ১০০ শতাংশ লোকের কাছে ভালো হতে পারেন না। তাসত্ত্বেও প্রার্থী সকলকে নিয়ে চলছেন। দলের দক্ষিণ মালদহ সাংগঠনিক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শান্তনু বলেন, প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার পর কিছু সমস্যা ছিল। ইতিমধ্যে তা মিটেছে। সবাই ময়দানে আছেন।
অন্যদিকে, জোড়াফুল শিবির যথেষ্ট উদ্দীপ্ত। দলীয় সূত্রের খবর, ১৭৫৯ বুথের জন্য তৈরি প্রায় ৫ হাজার ২৭৭জন এজেন্ট। দলের মালদহ জেলা সহ সভাপতি বাবলা সরকার বলেন, ভোটে হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেই এজেন্ট নিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করছে বিজেপি।