বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে ভাবনা-চিন্তা করে বিষয় নির্বাচন করলে ভালো হবে। প্রেম-প্রণয়ে বাধাবিঘ্ন থাকবে। কারও সঙ্গে মতবিরোধ ... বিশদ
আমেরিকার বিদেশ দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত সেদেশে পাকিস্তানের কনস্যুলেটগুলি স্বাভাবিকভাবে কাজ করছে। কিন্তু আগামী দিনে সেদেশের প্রত্যেক নাগরিকের ভিসা বাতিল করা হতে পারে। এর আগে আরও ১০টি দেশের বিরুদ্ধে এইরকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তারাও আমেরিকায় বেআইনিভাবে বসবাসকারী নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছিল। সেই তালিকায় পাকিস্তান হবে ১১ নম্বর দেশ। অন্যান্য যে সব দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করা হয়েছে, তাদের মধ্যে আছে ঘানা, গায়ানা, গাম্বিয়া, কম্বোডিয়া, এরিত্রিয়া, গিনি, সিয়েরা লিওন, মায়ানমার এবং লাওস।
আমেরিকার অভিবাসন ও নাগরিকত্ব আইনের ২৪৩ (ডি) ধারায় বলা আছে, দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সচিব যদি বিদেশ দপ্তরকে জানান যে, কেউ বেআইনিভাবে আমেরিকায় থাকা সত্ত্বেও তার দেশ তাকে ফেরত নিতে চাইছে না অথবা ফেরত নিতে অনাবশ্যক দেরি করছে, সেক্ষেত্রে সেই দেশকে ইমিগ্রেশন বা নন ইমিগ্রেশন ভিসা দেওয়া বন্ধ করা হতে পারে। আমেরিকার বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র বলেন, আমরা আপাতত পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ের আলোচনা করছি। কবে থেকে ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি হবে এখনও স্থির হয়নি। তাঁর কথায়, কোনও দেশের বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ যে মন্ত্রকগুলি করে থাকে তাদের অফিসারদের উপরেই আগে ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়। তারপরেও যদি সমস্যা থেকে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট দেশের অন্যান্য মন্ত্রকের অফিসারদের ভিসা নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়।
আমেরিকায় পাকিস্তানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত হুসেইন হাক্কানি বলেন, ‘সত্যিই যদি আমেরিকা ভিসা দেওয়া বন্ধ করে, আমরা বিপাকে পড়ব। পাকিস্তান যদি আমেরিকার অনুরোধ মেনে নিত, তাহলে এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত। এখন পাকিস্তানের যে নাগরিকরা নানা প্রয়োজনে আমেরিকায় যেতে চান, তাঁরা মুশকিলে পড়বেন।’ হাক্কানি জানিয়েছেন, এর আগেও আমেরিকায় থেকে যাওয়া বেআইনি অভিবাসীদের ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। তাঁর কথায়,আমেরিকা আগে এসব ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিত না। কিন্তু এখন তারা কড়াকড়ি করছে। ইসলামাবাদের উপর অসন্তুষ্ট হয়ে তারা নানা বিধিনিষেধ আরোপ করছে।