শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
শুক্রবার ঐতিহ্যবাহী কলকাতা টাউন ক্লাবে দাঁড়িয়ে প্রধান বিচারপতিকে বলতে শোনা যায়, বার এবং বেঞ্চের সম্পর্ক ঐতিহ্য এবং দেশের সাধারণ মানুষের স্বার্থে বিচার ব্যবস্থার আরও সংস্কার জরুরি। সেই লক্ষ্যেই বিচারব্যবস্থায় মহিলাদের আরও বেশি করে ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। মহিলারা যত বেশি করে অংশ নেবেন ততই সংস্কারমুখী বিচারব্যবস্থার দিকে এগতে পারবে ভারতীয় সমাজ। মহিলা ক্ষমতায়নের পাশাপাশি নবীন প্রবীণ সকলের সমান অধিকারের কথাও বলতে শোনা যায় প্রধান বিচারপতিকে। তিনি বলেন, নবীন প্রজন্মকে প্রবীণদেরই জায়গা করে দিতে হবে। পুরনো ধারণা থেকে বেরিয়ে এসে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে দিতে হবে। কারণ নতুন প্রজন্মই নতুন সমাজ গঠনের বার্তা এনে দেয়। এছাড়াও সমাজের প্রান্তিক অংশ থেকে তরুণ আইনজীবীদের বিচার ব্যবস্থায় যুক্ত করার পক্ষেও সওয়াল করেন তিনি। এছাড়াও বর্তমান প্রযুক্তির যুগে বিচার ব্যবস্থাকে আরও বেশি করে প্রযুক্তিমুখী করার কথাও বলেছেন প্রধান বিচারপতি। এছাড়াও অযথা কারণে হাইকোর্টের সিজ ওয়ার্কের সমালোচনা করেছেন তিনি। কোনও বিচারপতি বা আইনজীবীর প্রয়াণের পর আদালতের কাজ পুরোপুরি থমকে দেওয়ার সংস্কৃতি বদলানো প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ ও মামলাকারীদের কাছে আদালতের প্রতিটি সেকেন্ড মূল্যবান। তাই আমাদের সকলের দায়িত্ব বর্তায় যাতে আইনের কাজে এক মুহূর্ত নষ্ট না হয়।’
এদিন বক্তব্য শুরুর সময় প্রধান বিচারপতিকে বাংলায় কথা বলতে শোনা যায়। তিনি বলেন, ‘আমার প্রিয় শহর কলকাতায় এসে আমি অভিভূত। এই শহরের সাহিত্য, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, সিনেমা। সব কিছুরই ঐতিহ্য রয়েছে। এই শহর সৃষ্টির শহর।’ এছাড়াও ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় কলকাতা বার লাইব্রেরির অবদানের কথা তুলে ধরেন তিনি। পাশাপাশি অ্যালবার্ট আইনস্টাইনকে উদ্ধৃত করে প্রধান বিচারপতি বলেন, লাইব্রেরি জ্ঞানের ভাণ্ডার। বিচর ব্যবস্থায় জ্ঞানের পরিধি আরও বাড়াতে বার লাইব্রেরিগুলির যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। দুই শতাব্দী প্রাচীন কলকাতা বার লাইব্রেরি দীর্ঘদিন ধরে সেই গৌরবময় ভূমিকা পালন করে এসেছে যার ফসল হিসেবে দেশের বিভিন্ন হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টে এক একজন মহিরুহ বিচারপতিরা আজও উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছেন।