শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
এদিন, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় উপ রাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকরকে ফোন করেন। তিনি বলেন, আপনিও দীর্ঘদিন রাজ্যপাল হিসেবে কাজ করেছেন। বিমানবাবু উপ রাষ্ট্রপতিকে অনুরোধ করেন, রাজ্যপালকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলার জন্য। ফোনালাপের পর, সমস্যা দ্রুত মিটে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বিমানবাবু। এদিকে, শশী পাঁজা রাজ্যপালকে আক্রমণ করে বলেন, রাজভবনে সুরক্ষা নেই। সায়ন্তিকা সেখানে যাবেন কেন? রাজ্যপালকে আক্রমণ করে ফিরহাদ বলেন, নবনির্বাচিত সদস্যদের ওঁরই উজ্জীবিত করার কথা। আর সেই তিনিই উল্টে জটিলতার সৃষ্টি করছেন! এই রাজ্যপাল আসলে বিজেপির দালাল।
এই প্রসঙ্গে, রাজভবন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, দুই নবনির্বাচিত সদস্যের জন্য ২৬ জুন শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু বিধানসভায় শপথ গ্রহণের অনুরোধ জানিয়ে ২৪ জুন রাজভবনে চিঠি লেখেন সায়ন্তিকা। ২৫ জুন সায়ন্তিকাকে রাজভবনের তরফে নিয়ম-কানুন জানানো হয়। নবনির্বাচিত সদস্যদের জন্য রাজ্যপাল অপেক্ষা করেন ২৬ জুন। তারপর তাঁরা রাজভবনে না-যাওয়ায় দিল্লি চলে যান রাজ্যপাল।
বিবৃতিতে রাজভবন আরও জানিয়েছে, নবনির্বাচিত সদস্যদের অনুরোধ যখন ভেবে দেখছিলেন রাজ্যপাল সেইসময়ই মুখ্যমন্ত্রীর একটি বক্তব্য সামনে আসে। তিনি বলেছেন, মহিলারা রাজভবনে যেতে নিরাপদ বোধ করছেন না! বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচনে জয়ের শংসাপত্র পেলেই তিনি বিধায়ক। বিধানসভায় আসন গ্রহণ করতেই শপথ নেওয়ার দরকার হয়। এলাকার মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে তার জন্য বাধা থাকে না। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে রাজ্যপাল কোনও মন্তব্য করেননি। তবে রাজভবন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। তারপরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি মানহানির মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে, কোচবিহার কাণ্ডে সোমবার বিধানসভায় ধর্না দিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বিজেপির পরিষদীয় দল। সেই আবেদন নাকচ করেছেন বিধানসভার সচিব সুকুমার রায়। শুক্রবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল। অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিধানসভা।