শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
বাংলাদেশ পুলিসের হেফাজতে থাকা ফয়জল ও মোস্তাফিজুরকে জেরা করে তদন্তকারীরা জানতে পারছেন, এমপি খুনের পর তারা ছ’দিন ভারতে ছিল। ওই সময়ে দেহাংশ প্যাকেট বন্দি করা, খালের জলে ফেলা ইত্যাদি কাজ করে। ১৯ মে সকালে তারা ওই ফ্ল্যাট থেকে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে সোজা বনগাঁ সীমান্তে চলে যায়। সেখান থেকে সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে। ওইদিনই রাতে তারা খুনের মূল পরিকল্পনাকারী আমেরিকায় পলাতক আখতাররুজ্জামান শাহিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে। দুই অভিযুক্ত জানায়, তাদের কাছে টাকা নেই। সেই কারণে অন্যত্র পালিয়ে থাকতে পারছে না। আর এখনই না পালালে তারা ধরা পড়ে যেতে পারে। এরপর ৩০ হাজার টাকা ফয়জলের ই-ওয়ালেটে পাঠায় শাহিন। সেই টাকা নিয়ে দু’জন বাংলাদেশের পাহাড়ি এলাকায় পলাশ রায় ও শিমুল রায় নামে থাকতে শুরু করে। সেখানে তারা অনেকদিন লুকিয়ে ছিল। দীর্ঘ তল্লাশির পরই তাদের ধরা হয়।
জেরায় দুই অভিযুক্ত বাংলাদেশ পুলিসকে জানিয়েছে. এমপিকে বরানগর থেকে নিউ টাউনের ফ্ল্যাটে নিয়ে যায় ফয়সল। আগে থেকে ফ্ল্যাটে হাজির ছিল মোস্তাফিজুর। সেখানে ঢোকার পর এমপিকে চড়থাপ্পড় মারতে শুরু করে মোস্তাফিজুর। এরপর ফয়জল আনারকে চেপে ধরে। তাঁর জামাকাপড় খোলে মোস্তাফিজুর। এমপিকে বিবস্ত্র করার পর ফ্ল্যাটের একটি চেয়ারে দু’জন মিলে বসায়। তারা তাঁকে পিছমোড়া দিয়ে বাঁধে। আনারের বুক পেট লক্ষ্য করে চলতে থাকে এলোপাথাড়ি কিল-ঘুসি ও লাঠি। তারপর তাঁর নাকে ক্লোরোফর্ম শোঁকায় ফয়জল। সঙ্গে সঙ্গেই অচৈতন্য হয়ে পড়েন এমপি। তখন চেয়ার থেকে নামিয়ে তাঁর দেহ ফেলা হয় মাটিতে। তাঁর শরীরের উপর ওঠে বসে কসাই জিহাদ। বড় ধারালো ছুরি দিয়ে এমপিকে খুন করার পর দেহটি টুকরো টুকরো করতে শুরু করে সে।