অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
কারা হবেন প্রার্থীর কাউন্টিং এজেন্ট? এই তথ্য গণনার তিনদিন আগে, অর্থাৎ আজ, বৃহস্পতিবারের মধ্যে জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে জানাতে হবে। গণনাকেন্দ্রের বাইরে কোনও ভিড় বা জমায়েত চলবে না। একইভাবে গণনাকেন্দ্রের মধ্যেও একগুচ্ছ সংক্রমণ বিধি মানতে হবে বলেই নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। বলা হয়েছে, গণনার টেবিল থেকে শুরু করে ইভিএম এবং ভিভিপ্যাটের বাইরের বাক্স বারবার স্যানিটাইজ করতে হবে। গণনার আগে, চলাকালীন এবং পরে গণনাকেন্দ্র জীবাণুমুক্ত করতে হবে। আর এই গোটা প্রক্রিয়ায় বিস্তর সময় খরচ হবে বলেই রাজনৈতিক মহলের মত। ফলে আগামী ২ মে ভোটের ফলাফল প্রকাশ হতে মাঝরাত পেরিয়ে যেতে পারে বলেই ধারণা তথ্যাভিজ্ঞ মহলের।
কোভিড সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের মধ্যেই ভোট প্রচারে ভিড় দেখে নির্বাচন কমিশনকে ইতিমধ্যেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে প্রয়োজনে গণনা বন্ধ করার নির্দেশও দেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে আদালত। আগামী কাল, শুক্রবার সেই মামলার পরবর্তী শুনানি। তাই তার আগেই তড়িঘড়ি এই নির্দেশ দিল কমিশন। বলা হয়েছে, তিনজন কাউন্টিং এজেন্ট পাশাপাশি বসলে মাঝে যিনি থাকবেন, তাঁকে পিপিই কিট পরতে হবে। প্রত্যেকের মাস্ক বাধ্যতামূলক। সংক্রমণ রুখতে গণনাকেন্দ্রের প্রতিটি প্রবেশপথে থার্মাল স্ক্যানিং হবে। কোনও কাউন্টিং এজেন্টের যদি জ্বর থাকে, তাঁকে গণনাকেন্দ্রে ঢুকতে দেওয়া হবে না। গণনার টেবিল রাখতে হবে দূরত্ব বজায় রেখে। বড় ঘরে গণনার ব্যবস্থা করতে হবে। কমিশনের যাবতীয় নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন হচ্ছে কি না, তা জেলা নির্বাচনী আধিকারিককে নিশ্চিত করতে হবে। বুধবারই রাজ্যে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব। অতিরিক্ত সিইও সঞ্জয় বসু জানিয়েছেন, মোট গণনাকেন্দ্র রাজ্যে ১০৮টি। প্রত্যেকটিতে একজন করে হেলথ নোডাল অফিসার থাকবেন। কোভিড গাইডলাইন সুনিশ্চিত করা হবে। কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থাও রাখবে কমিশন।