অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
দেশজোড়া করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা দেশ। সবথেকে খারাপ অবস্থা মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্ণাটক, উত্তরপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও অন্ধ্রপ্রদেশের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্র ও দিল্লির সংক্রমণের পিছনে রয়েছে ‘বি ওয়ান ৬৭১’ স্ট্রেইন। এমনকী, গোটা দেশেও সংক্রমণের এই ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফের জন্য দায়ী এই ডবল মিউট্যান্ট। পাশাপাশি মঙ্গলবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও জানিয়েছে, ভারতে করোনার এই বাড়বাড়ন্তের জন্য দায়ী এই স্ট্রেইন। শুধু ভারত নয়, বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশেও মিলেছে ‘বি ওয়ান ৬৭১’ মিউট্যান্ট।
করোনার এই উচ্চ সংক্রামক স্ট্রেইনকে রুখে দিতে সক্ষম কোভ্যাকসিন। এমনটাই জানিয়েছেন ফৌজি। মঙ্গলবার তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে প্রতিদিন আমরা অসংখ্য তথ্য সংগ্রহ করছি। সম্প্রতি যে উল্লেখযোগ্য তথ্য হাতে এসেছে তা হল — ভারতে ব্যবহৃত কোভ্যাকসিন নেওয়া জনগণের তথ্য। সেখানে দেখা গিয়েছে, এই টিকা ৬১৭ মিউট্যান্টকে পরাস্ত করতে সক্ষম। তাই, যাবতীয় সমস্যা সত্ত্বেও ভারতে টিকাকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ একইসঙ্গে হোয়াইট হাউসের ওই স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেছেন, ভারতের করোনা পরিস্থিতির উপর তাঁরা নজর রাখছেন।
ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কোভ্যাকসিন তৈরি করেছে হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটক। পরীক্ষামূলক প্রয়োগেও টিকাটির ৭৮ শতাংশ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে। কোভ্যাকসিন তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে মৃত সার্স-কোভ-২ ভাইরাস। এই টিকা করোনার বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি তৈরি করতে প্রস্তুত। প্রসঙ্গত, গত ৩ জানুয়ারি থেকে জরুরি ভিত্তিতে এই টিকা প্রয়োগের অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্র।