অতিরিক্ত পরিশ্রমে শারীরিক ক্লান্তি, প্রিয়জনের বিপথগামিতায় অশান্তি ও মানহানির আশঙ্কা, সাংসারিক ক্ষেত্রে মতানৈক্য এড়িয়ে চলা ... বিশদ
পাঁচ রাজ্যের মধ্যে বাংলাই নরেন্দ্র মোদির কাছে সবথেকে বড় প্রেস্টিজ ফাইট। দক্ষিণের তিন রাজ্যে বিজেপি এককভাবে শক্তিহীন। অসমে বিজেপি এখনও ক্ষমতায়। সুতরাং, গোটা দেশের নজর এবার বাংলার উপর। করোনা ব্যর্থতার যাবতীয় নিন্দার ঝড় মুছে ফেলা যাবে একমাত্র যদি মোদি বাংলা জয় করতে পারেন। রাজনৈতিকভাবে মোদির উচ্চতা সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছবে। ভারতীয় জনসঙ্ঘ ও বিজেপির ইতিহাসে তিনিই হবেন সর্বাধিক শক্তিশালী নেতা। কারণ, গেরুয়া শিবিরের আর কেউ আজ পর্যন্ত বাংলা জয় করতে পারেনি। পক্ষান্তরে, যদি মোদিকে বাংলায় পরাস্ত করতে পারেন, তাহলে নতুন ইতিহাস গড়ে গোটা ভারতের সবথেকে শক্তিশালী বিজেপি বিরোধী নেত্রীতে পরিণত হয়ে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সুতরাং বাংলার ফলাফল যাই হোক সেটি এক নতুন মাইলফলকের দিকে ঠেলে দেবে ভারতকে।
বিজেপির কাছে সবথেকে বড় প্রত্যাশা হল অসম, বাংলা, ও পুদুচেরি দখল করা। পুদুচেরিতে অবশ্য এআইএডিএমকের সঙ্গে জোট গড়েছে তারা। কিন্তু, ফলাফল যদি বিপরীত হয়, অর্থাৎ পাঁচে বিজেপি শূন্য হলে সেটি যতটা না বিজেপির পরাজয়, তার থেকে অনেক বেশি মোদির বিপর্যয় শুরুর ইঙ্গিত। ভোটের আগে জনমত সমীক্ষার সিংহভাগই জানিয়েছিল, অসমে ইউপিএ এবং এনডিএ জোটের জোরদার টক্কর হতে চলেছে। বিজেপি সামান্য হলেও এগিয়ে আছে। তবে, ইউপিএ ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলবে। বাংলায় প্রায় প্রতিটি জনমত সমীক্ষাই তৃণমূল কংগ্রেসকে এগিয়ে রেখেছে। যদিও কয়েকটি সমীক্ষার বক্তব্য, ত্রিশঙ্কু বিধানসভা হবে। কেউই পাবে না একক গরিষ্ঠতা। আবার এক-দু’টি সমীক্ষার পূর্বাভাসে বিজেপি এগিয়ে আছে।
কেরলে এবারও বেশ কিছু জনমত সমীক্ষা অনুযায়ী জয়ী হতে পারে বামফ্রন্ট। তামিলনাড়ুতে কংগ্রেস ও ডিএমকের জোট। পুদুচেরিতে এআইএডিএমকে ও বিজেপি জোট এগিয়ে। এই জনমত সমীক্ষার সঙ্গে সাযুজ্যপূর্ণ এক্সিট পোল আজ হবে কি না, আপাতত সেটা জানতে প্রত্যেকেই উদগ্রীব। তবে বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হলেও টেনশন কমছে না। কারণ, শেষ বিধানসভা ভোট হয়েছে বিহারে। সেখানে এক্সিট পোলের সিংহভাগ ভুল প্রমাণিত হয়েছে। সুতরাং, আজকের বুথফেরত সমীক্ষা আরও ৪৮ ঘণ্টার জন্য জল্পনা, চর্চা, আলোচনার পথ হয়তো খুলে দেবে। কিন্তু শেষ হাসি কে হাসবে, সেটা জানার জন্য অপেক্ষা করতে হবে রবিবার পর্যন্ত।