শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মাত্র তেইশ বছর বয়সেই ওয়ান ডে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন কোহলি। তবে টি-২০ বিশ্বকাপ ট্রফি ছুঁয়ে দেখার সুযোগ কখনও আসেনি। অবশেষে স্বপ্নপূরণ। স্বাভাবিকভাবেই আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন কোহলি। যে ক্রিকেটারকে বিপক্ষের বিরুদ্ধে আগ্রাসী দেখতেই অভ্যস্ত ক্রিকেট দুনিয়া, তাঁকে বার্বাডোজের সবুজ গালিচায় দেখা গেল অন্য মেজাজে। মাঠের এক প্রান্তে গিয়ে ভিডিও কলে কথা বললেন তিনি। বলার অপেক্ষা রাখে না সেই কলের উল্টোদিকে কে ছিলেন। কয়েক হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা স্ত্রী অনুষ্কার মনের অবস্থা তিনি ভালোই অনুধাবন করতে পারছিলেন। কারণ, কঠিন সময়ে বার বার তিনি পাশে পেয়েছেন স্ত্রী’কে। প্রায় এক হাজার দিন পর যখন আন্তর্জাতিক সেঞ্চুরির খরা কেটেছিল, সেদিনও সঙ্গী ছিলেন অনুষ্কা। তাই বিশ্বজয়ের আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগ করে নিতে ভোলেননি কোহলি। সন্তানদের উদ্বেলিত হওয়ার ছবিও ছুঁয়ে গিয়েছে ম্যাচের নায়ককে।
টি-২০ বিশ্বকাপের সফরটা মোটেও সুখের ছিল না কোহলির। সর্বসাকুল্যে ৭টি ম্যাচে ৭৫ রান। ধারাবাহিক ব্যর্থতায় বিশ্বাস যেন টলে গিয়েছিল। সেমি-ফাইনালে দ্রুত আউট হয়ে ড্রেসিং-রুমে ফিরে গুম মেরে বসেছিলেন এককোণে। মানসিক অবস্থা বুঝে কোচ রাহুল দ্রাবিড় এগিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর দিকে। আস্থার হাত রেখেছিলেন চওড়া কাঁধে। ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মাকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল, ফাইনালে কি ওপেনিং জুটিতে বদল আনা হবে? সটান তা নাকচ করে দেন হিটম্যান। আসলে দ্রাবিড়, রোহিতরা জানতেন কোহলির ব্যাট যেদিন চলবে, সেদিন সব কিছু উড়ে যাবে খড়কুটোর মতো। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিরাট-মেজাজে পাওয়া গেল তাঁকে। দিনের দ্বিতীয় বলে বাউন্ডারি হাঁকানোর মধ্যেই বার্তা ছিল স্পষ্ট। নিন্দুকদের মুখে ঝামা ঘষে দলকে টেনে তুললেন খাদের কিনারা থেকে। বুঝিয়ে দিলেন, কেন তিনি বড় মঞ্চের তারকা। অক্ষরের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে যোগ করলেন অনবদ্য ৭২। তারপর শিবম দুবের সঙ্গে ৫৭ রানের পার্টনারশিপ। বিরাট বিক্রমেই আইসিসি ট্রফির খরা কাটল টিম ইন্ডিয়ার। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের ফাইনালেও জ্বলে উঠেছিল বিরাটের ব্যাট। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনালে দুর্দান্ত ৭৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। কিন্তু সেদিন খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। দশ বছর পর বার্বাডোজে পালাবদল। বিরাট রান পেলেন, চ্যাম্পিয়ন হল ভারত।