বিতর্ক-বিবাদ এড়িয়ে চলা প্রয়োজন। প্রেম-পরিণয়ে মানসিক স্থিরতা নষ্ট। নানা উপায়ে অর্থোপার্জনের সুযোগ।প্রতিকার: অন্ধ ব্যক্তিকে সাদা ... বিশদ
এই মুহূর্তে আইসিসি’র চেয়ারম্যান হওয়ার দারুণ সুযোগ রয়েছে সৌরভের সামনে। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার ডেভিড গাওয়ার থেকে শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন তারকা গ্রেম স্মিথ বিশ্ব ক্রিকেটের মহার্ঘ সিংহাসনের যোগ্য দাবিদার হিসেবে সৌরভের নাম উল্লেখ করেছেন। রবিবার সেই একই সুর শোনা গেল শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন অধিনায়ক কুমার সাঙ্গাকারার কণ্ঠেও। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্ব ক্রিকেট এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে শক্ত হাতে হাল ধরতে হবে। আমার মনে হয়, সৌরভ গাঙ্গুলিই সেটা পারবে। দাদার ক্রিকেট মস্তিষ্ক অসাধারণ। ওর খেলার বড় ভক্ত ছিলাম আমি। আমার বিশ্বাস, ক্রিকেটের স্বার্থেই ও যথার্থ সিদ্ধান্ত নেবে। ক্রিকেট প্রশাসক হিসেবে অনেক দিন কাজ করে ফেলায় আইসিসি চালাতে কোনও সমস্যা হবে না ওর। ক্রিকেটের উন্নয়নের জন্য সৌরভ নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করবে বলে আমার বিশ্বাস।’ সাঙ্গাকারা সেই সঙ্গে যোগ করেন, ‘আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সেখানে যোগ্য লোকের বরাবরই অভাব। সৌরভ যেহেতু নিজে ক্রিকেট খেলেছে, তাই ও ভালোই বুঝবে এই খেলাটার প্রসার ঘটানোর জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। বিসিসিআই সভাপতি হিসেবে সে দারুণ সফল। দাদাকে খুব কাছ থেকে আমি দেখেছি। এমসিসি কমিটিতেও আমাদের দেখা হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের ক্রিকেটারদের সঙ্গে সৌরভের আজও নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে। কোনও সন্দেহ নেই, আইসিসি-র চেয়ারম্যান পদে সৌরভই যোগ্যতম প্রার্থী। দাদা মনোনয়ন দিলে অধিকাংশ দেশই তাকে সমর্থন জানাবে।’
সৌরভ এখন খানিকটা ধন্ধে রয়েছেন। কারণ বিসিসিআই সভাপতি পদে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য সুপ্রিম কোর্টে যে আবেদন করেছেন তিনি, সেই মামলা এখনও ঝুলে রয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায় জানার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ তিনি নিতে পারেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে সত্যিই যদি তাঁকে বোর্ড সভাপতি পদ ছেড়ে কুলিং অফে যেতে হয়, তাহলে হয়তো আইসিসি’র মসনদে দেখা যেতে পারে সৌরভকে। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে কথা বলে মনে হয়েছে, আপাতত তিনি দেশের ক্রিকেটের উন্নতিতেই বেশি আগ্রহী। প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সুনীল গাভাসকরও সেটাই চান। সানি বলেছেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই সৌরভ ও তার টিম ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাক। এখন দেখার বিষয়, আদালত কী সিদ্ধান্ত নেয়। অধিনায়ক হিসেবে সৌরভ ভারতীয় দলকে অন্ধকার থেকে আলোয় ফেরার পথ দেখিয়েছিল। প্রশাসক হিসেবেও সে দারুণ কাজ করছে। এই মুহূর্তে বিসিসিআইয়ের ওকে খুবই প্রয়োজন।’