সংবাদদাতা, বহরমপুর: মোটরবাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৃদ্ধাকে ধাক্কা মেরে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল দুই যুবক। কিন্তু হাসপাতালে আনার পর বৃদ্ধার মৃত্যু হওয়ায় তারা মৃতদেহ ফেলে পালাল। পরে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে হাসপাতালে পৌঁছন। বৃহস্পতিবার বিকেলে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিস জানিয়েছে, মৃতার নাম দৈবতী ঘোষ(৭০)। বাড়ি লালগোলা থানার শিকারপুরের ঘোষপাড়ায়। ঘাতক বাইক ও দুই যুবকের খোঁজে পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বৃদ্ধা বাড়ির সামনে রাস্তা পার করছিলেন। সেসময় এক বেপরোয়া বাইকচালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে। বাইকচালক ও তার সঙ্গী যুবক স্থানীয়দের সাহায্যে গুরুতর জখম দৈবতীদেবীকে ওই বাইকে বসিয়েই লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে স্থানান্তরিত করার সময় পথেই বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এরপর দুই যুবক মৃতদেহ হাসপাতালে ফেলে পালিয়ে যায়। দৈবতীদেবীর ছেলে তপন ঘোষ বলেন, আমরা কেউ সেসময় বাড়িতে ছিলাম না। প্রতিবেশীদের সাহায্যে ওই দুই যুবক মাকে হাসপাতালে এনেছিল। পরে হাসপাতাল থেকে জানতে পারি, মায়ের মৃত্যু হয়েছে।
নেশাগ্রস্ত সাইকেল আরোহীকে বাঁচাতে গিয়ে বাইক দুর্ঘটনায় এক যুবকের মৃত্যু হল। মৃতের নাম নসিবুর রহমান(২০)। বাড়ি খড়গ্রাম থানার হাটপাড়ায়। বাইকের অপর দুই আরোহী মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ভর্তি রয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে খড়গ্রাম থানার নগরে হলদিয়া-ফরাক্কা বাদশাহী সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
খড়গ্রাম থানার পুলিস জানিয়েছে, তিন বন্ধু একটি বাইকে হাটপাড়া থেকে নগর আসছিলেন। নগর কলেজ মোড়ে এক নেশাগ্রস্ত সাইকেল চালক রাজ্য সড়কের উপর এদিক-ওদিক করছিলেন। তাঁকে বাঁচাতে গিয়েই চালক বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারান। তিন যুবকই রাজ্য সড়কের উপর ছিটকে পড়েন। তাঁদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে আনা হলে আধঘণ্টার মধ্যে নসিবুরের মৃত্যু হয়। অপর দুই যুবকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।