সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: স্ত্রীকে দিনভর বিবস্ত্র করে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। নেশার ঘোরে হাঁসুয়া দিয়ে একাধিকবার কোপ মারে বলেও অভিযোগ। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনায় সাগরদিঘির কাবিলপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। স্থানীয় লোকজন ওই বধূকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে সাগরদিঘি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। তাঁর স্বামী নেশা করে বাড়িতে এসে প্রায়ই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারধর করে। ওইদিনই অভিযুক্ত যুবককে পুলিসের হাতে তুলে দেন গ্রামবাসীরা। পরে বধূর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাড়ি সাগরদিঘি থানার কাবিলপুর পঞ্চায়েতের পাঁকালপাড়ায়। অভিযুক্তর উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বধূর বাপেরবাড়ির লোকজন।
এপ্রসঙ্গে সাগরদিঘি থানার এক পুলিস অফিসার বলেন, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার প্রায় দিনভর স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে ঘরে বন্দি করে রাখে শাহিন। সন্ধ্যায় মদ্যপান করে প্রচণ্ড মারধরও করে। গৃহবধূ প্রতিবাদ করলে হাঁসুয়া দিয়ে একাধিক কোপ দেওয়া হয়। তারপর শরীরের পোশাক খুলে নিয়ে নগ্ন করে ঘরে ফেলে রাখে। বধূর মা সাদেনুর বিবি বলেন, প্রতিবেশীরা ফোনে খবর দেন। বিয়ের পর থেকেই আমার মেয়ের উপর অত্যাচার করে জামাই। নাতি সহ মেয়েকে আমার কাছে নিয়ে চলে গেলে আমাদের বাড়িতে এসেও অত্যাচার করে। কতদিন এই অত্যাচার সহ্য করবে? পুলিস ওর উপযুক্ত শাস্তি দিক। 
কাবিলপুর পঞ্চায়েতের সদস্যা নিলুফা খাতুনের স্বামী নুরুজ্জামান বলেন, আমি এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় অস্বাভাবিক কিছু একটা লক্ষ্য করি। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি বধূকে ধারালো অস্ত্রের কোপ দেওয়া হয়েছে। বিবস্ত্র অবস্থায় ফেলে রেখেছে। লোকজনকে বলে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করার বন্দোবস্ত করি। ছেলেটি নেশা করে পরিবার ও প্রতিবেশীদের জ্বালাতন করে। উপযুক্ত শাস্তি হওয়া দরকার।