দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
শ্রীনিকেতন রোডে কড়া পদক্ষেপের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জবরদখল সরানোর কাজ শুরু করে পুরসভা। যদিও সংশ্লিষ্ট এলাকার ব্যবসায়ীদের দাবি, দোকান সরানোর জন্য ২৪ ঘণ্টাও সময় দেওয়া হয়নি। ফলে প্রথমদিনই স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় পুরসভার কর্মীদের। যদিও, প্রথম দিন যেভাবে জবরদখল সরানোর প্রক্রিয়া কার্যকর হয়েছে, তা দেখে শান্তিনিকেতন রোডের অধিকাংশ ফুটপাত ব্যবসায়ী ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে নিজেরাই দোকানপাট তুলে নেন। এরপর শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে দু’টি বুলডোজার দিয়ে অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হয়। প্রথমে, বোলপুর চৌরাস্তা থেকে চিত্রা মোড় পর্যন্ত অভিযান চলে। মূলত সেখানেই ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এমনকী, পুরসভার কর্মী-আধিকারিকদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। তাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বোলপুর পুরসভা পুলিস-প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়। এরপরেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁদেরও অভিযানে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
এই ঘটনায় প্রশাসনকে এক হাতে নিয়েছে বিজেপি। বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ ওরফে অষ্টম মণ্ডল বলেন, নির্বাচন বা ভোট পরবর্তী হিংসায় সেভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার দেখা যায়নি। ফলে অনেক বিজেপি কর্মী আক্রান্ত হয়েছেন। অথচ, ব্যবসায়ীদের সরানোর কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যবহার হচ্ছে, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতির বিষয়টি পুলিস-প্রশাসন অস্বীকার করেছে।
বোলপুরের অ্যাডিশনাল পুলিস সুপার রানা মুখোপাধ্যায় বলেন, জবরদখল সরানোর অভিযান পর্বে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতির বিষয়টি আমার জানা নেই। তারা সেখানে ছিলেন কি না খতিয়ে দেখছি।