কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
কেমন ছিল সেই সফর? ১৫ বছরের জ্যোতি কুমারীর জবাব, ‘মাত্র ৬০০ টাকা নিয়ে দিল্লির বাড়ি থেকে বের হয়েছিলাম। দিনরাত একটানা সাইকেল চালাতাম। রাতে কোনও পেট্রল পাম্পে ঘণ্টা দু’-তিনেক বিশ্রাম নিয়ে ফের বাবাকে পিছনে বসিয়ে বেড়িয়ে পড়তাম। ত্রাণ শিবিরগুলিতেই খাবার খেয়েছি।’ এতটা রাস্তা সাইকেল চালিয়ে আসতে ভয় করল না? ক্লাস সেভেনের ছাত্রীর ঝটতি উত্তর, ‘না। আমাদের মতো কতো মানুষই তো হাইওয়ে ধরে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফিরছে। শুধু ভাবতাম, কোনও গাড়ি যেন পিছন থেকে এসে ধাক্কা না দেয়।’
দিল্লিতে জ্যোতির বাবা ই-রিক্সা চালাতেন। কিন্তু, লকডাউন শুরু হতেই কাজ হারান তিনি। পায়েও গুরুতর চোট লাগে। এরমধ্যে বাড়ির মালিকও ঘর ভাড়ার জন্য চাপ দিতে থাকে। কোনও উপায় না দেখে দ্বারভাঙার ভিটেতেই ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় বাবা-মেয়ে। কিন্তু, দিল্লি থেকে দ্বারভাঙা পৌঁছে দিতে ৬ হাজার টাকা চায় এক ট্রাকচালক। দু’বেলা খাবারই জোটে না, এত টাকা জোগাড় করা তো অসম্ভব! তাই কুড়িয়ে-বাড়িয়ে যা টাকা ছিল, তার থেকে ৫০০ টাকা দিয়ে একটা সাইকেল কেনে জ্যোতি। আর তাতেই সওয়ার হয়ে চলতি মাসের ১০ তারিখ বাবাকে নিয়ে বাড়ি রওনা দেয় ওই কিশোরী। গত শনিবার অর্থাত্ ১৬ তারিখ গ্রামে পৌঁছয় তারা।
এদিকে, সাইকেলে মেয়ে-বাবাকে এভাবে গ্রামে আসতে দেখে অবাক হয়ে যান গ্রামবাসী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। স্ক্রিনিংয়ের পর আপাতত জ্যোতিকে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।