কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীর ঈর্ষার কারণে সম্মানহানি হবে। ব্যবসায়ীদের আশানুরূপ লাভ না হলেও মন্দ হবে না। দীর্ঘ ... বিশদ
কিন্তু এবার করোনা ভাইরাসের জেরে লকডাউনের সময়সীমায় একঝাঁক ইস্যুতে বিজেপি বিরোধী দলগুলি মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছে। সবথেকে বেশি আক্রমণ করা হয়েছে দুটি ইস্যুতে। পরিযায়ী শ্রমিকদের চরম দুর্দশা এবং রাজ্যের অধিকারে কেন্দ্রের নজিরবিহীন হস্তক্ষেপ। সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে। এই দুটি ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপিকে চেপে ধরতে কংগ্রেস পুনরায় উদ্যোগী হয়ে শুক্রবার সব বিজেপি বিরোধী দল এবং বিজেপি-বিরোধী মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সের আয়োজন করেছে। কংগ্রেসের পক্ষে সবথেকে স্বস্তিদায়ক হল, এবার প্রথমেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি পাওয়া গিয়েছে। তিনি যোগ দেবেন। থাকবেন এম কে স্ট্যালিন, শারদ পাওয়ারও। কিন্তু সামগ্রিকভাবে বিরোধী মঞ্চের ঐক্যবদ্ধ চিত্র তখনই তুলে ধরা সম্ভব হবে, যখন কমবেশি সব বিজেপি বিরোধী দলই বৈঠকে অংশ নেবে। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের সমাজবাদী পার্টি নেতা অখিলেশ যাদব, বহুজন সমাজ পার্টি সুপ্রিমো মায়াবতী এই বৈঠকে হাজির থাকবেন কিনা তা নিয়েই জল্পনা তুঙ্গে। অন্যদিকে তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী সে চন্দ্রশেখর রাও আজও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছেন, কেন্দ্র প্যাকেজের নামে রাজ্যকে ভিক্ষা দিচ্ছে নাকি? কিন্তু মুখে এই আক্রমণ করলেও, তিনি বিরোধীদের বৈঠকে হাজির হবেন কিনা সেটা নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। ধরেই নেওয়া হচ্ছে নবীন পট্টনায়ক অংশ নেবেন না। এই অবস্থায় বিজেপি চাইছে, চরম বিজেপি বিরোধী কয়েকজন নেতানেত্রী ছাড়া শুক্রবারের বৈঠকে যদি গুরুত্বপূর্ণ একঝাঁক অবিজেপি দল সাড়া না দেয়, তাহলে সেটা নিয়েই প্রচার করা হবে যে, বিরোধী ঐক্য বলে আসলে কিছুই নেই। সোনিয়া গান্ধীর জোট উদ্যোগ পুনরায় ব্যর্থ। তাই শেষ পর্যন্ত শুক্রবার কতজন বিরোধী নেতানেত্রী উপস্থিত থাকেন সেটা নিয়ে বিজেপি শীর্ষ স্তরের নেতারাও এখন উদগ্রীব।