সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
সোমবার পঞ্চম দফার পর দেশের ৪২৪টি আসনে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখনও বাকি ১১৮টি কেন্দ্র। প্রশ্ন, রাহুল গান্ধী এত জোর কোথা থেকে পাচ্ছেন? তাঁর এতটা আত্মবিশ্বাসের উৎস কী? সূত্রের খবর, পাঁচ দফায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ভোট কোনদিকে গিয়েছে, তার একটি ইঙ্গিত পেয়েছেন রাহুল। আর তাছাড়া, গরিবদের ন্যূনতম আয় সুনিশ্চিত করা এবং বেকার যুবকদের চাকরির আশ্বাসের ফল ভোটবাক্সে কংগ্রেস পাবে বলে তাঁর বিশ্বাস। পঞ্চম দফার পর থেকে রাহুলের শরীরি ভাষায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। বেশ আত্মবিশ্বাসী তিনি। সেটাই বিভিন্ন ভাষণে প্রতিফলিত হচ্ছে। শুধুমাত্র জাতীয়তাবাদী আবেগ দিয়ে বিজেপি বাজিমাৎ করতে পারছে না বলে দাবি রাহুলের। ট্যুইটারে তিনি লিখেছেন, গত কয়েক দফায় দেশের নবীন প্রজন্ম ঢেলে ভোট দিয়েছেন। তাঁরা যে ‘ন্যায়’-এর পক্ষে, তা স্পষ্ট। বয়স্ক ভোটাররাও অভিজ্ঞতা দিয়ে পর্যালোচনা করে ভোট দিয়েছেন। পরিবর্তন আসছে। পেট্রোল-ডিজেলের দাম কমানোর পাশাপাশি দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কংগ্রেস সরকার পদক্ষেপ করবে বলেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কংগ্রেস সভাপতি। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মধ্যবিত্তদের জীবন অসহনীয় হয়ে উঠেছে। এই বোঝা কমাতে কংগ্রেস প্রথমেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করবে।
এদিনই মধ্যপ্রদেশের একটি জনসভায় রাহুল গান্ধী ফের বলেন, নরেন্দ্র মোদি এখন যা খুশি বলছেন। কিন্তু সাধারণ মানুষ আর তাঁর উপর ভরসা করছেন না। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগের প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা ঢাকতে সকলের দৃষ্টি ঘোরাতে চাইছেন। আসলে মোদি সত্যির মুখোমুখি হতে পারেন না। নোটবাতিল এবং জিএসটির মতো সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের যুবকদের গভীর হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী সাহায্যে দেশের ধনী ডাকাতরা তাদের কালো টাকা সাদা করে নিয়েছে। মোদি সরকার দেশের ১৫জন ব্যক্তির ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার কোটি টাকার ঋণ মকুব করেছে। কিন্তু গরিব কৃষক বা যুবকদের প্রতি তাদের কোনও সমবেদনা নেই। ঋণ অনাদায়ে কৃষকদের জেলে পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। মোদি সর্বদা ধনীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে থাকেন। তাঁকে কোনওদিনই গরিবদের কাছে টানতে দেখা যায় না। ‘চৌকিদার চোর হ্যায়’ স্লোগান নিয়ে বিতর্ক প্রসঙ্গে রাহুলের ব্যাখ্যা, তিনি বা কংগ্রেস এই স্লোগান তৈরি করেননি। ছত্তিশগড়ের একটি সভায় তিনি ‘চৌকিদার’-এর প্রতিশ্রুতি নিয়ে সমালোচনা করছিলেন। তখনই উপস্থিত জনতা ‘চোর হ্যায়’ বলে চিৎকার করেন। তিনি প্রথমে শুনতে পাননি। ফের জানতে চান, ‘চৌকাদার ক্যায় হ্যায়’? উত্তর আসে ‘চোর হ্যায়’। আসলে মোদি বিজ্ঞাপনের রাজা, উন্নয়নের ভিলেন।