সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
অন্যদিকে, ধনেখালির শিবাইচণ্ডীর একটি বুথে বিজেপির বিরুদ্ধে ইভিএম ভাঙচুরের অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। ওখানেই বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। বনগাঁর হিংলিতে বিজেপির বিরুদ্ধে বোমাবাজির অভিযোগ তুলেছে শাসকদল। অন্যদিকে, হাওড়ার বালটিকুরিতে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় বাহিনী মারধর করেছে বলে অভিযোগ। সব ক্ষেত্রেই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েকও এদিন বিকেলে বলেন, ভোট শান্তিপূর্ণ হয়েছে।
এদিনের ভোটে মূলত বিজেপি কয়েকটি জায়গায় শান্তিপূর্ণ ভোটগ্রহণে বাধা সৃষ্টি করে। বিনা প্ররোচনায় অশান্তি পাকানোর চেষ্টা করায় প্রায় প্রতিটি জায়গাতেই জনরোষ আছড়ে পড়ে। অন্যদিকে, হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, বনগাঁ ও আরামবাগের ভোটপর্ব মোটামুটি নির্বিঘ্নেই মিটেছে। উল্লেখযোগ্যভাবে এই দফার ভোটে ৩৪ বছরের শাসকদল সিপিএম কার্যত কর্পূরের মতো উবে গিয়েছে। যদিও বেশিরভাগ বুথেই বিরোধীরা এজেন্ট দিতে পারেনি।
হুগলির ধনেখালির বেলমুড়ি মুইদিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫৯ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ তুলে ইভিএম মেশিন ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপরেই তৃণমূল কর্মীরা বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে ঘিরে ধরে তাঁর গাড়ি ভাঙচুর করে। ভাঙচুর হয় সংবাদমাধ্যমেরও বেশ কয়েকটি গাড়ি। এছাড়াও ধনেখালির কাঁকড়াখুলি, বেলমুড়ি ও মল্লিকপুর সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় গিয়ে কখনও পোলিং এজেন্টের চামড়া গুটিয়ে দেওয়া, আবার কখনও প্রিসাইডিং অফিসারকে ধমক দিয়ে তাঁর কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন লকেট। অন্যদিকে, এদিন সকালে চুঁচুড়ার জোড়াঘাটের কাছে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি প্রণব সাহাকে মারধর করে মুখ ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে।
বারাকপুরের ভাটপাড়ায় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার সুনীল নিয়োগীকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। বারাকপুর পুরসভার সুকান্ত সদনের উল্টো দিকে গাঁজাগলিতে একটি ফ্ল্যাটবাড়ির নীচে হামলা চালানো হয়। দু’জন প্রবীণ আবাসিককে মারধর করা হয়। পাশেই সিপিএমের বুথ অফিসে কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, বনগাঁ লোকসভার অধীনে চাকদহের প্রিয়নগর এলাকায় রিগিংকে কেন্দ্র করে বিজেপি-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তাতে দু’পক্ষের পাঁচজন জখম হয়েছেন। গয়েশপুরে একাধিক বুথে ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।
এদিন দুপুরে হিংলি এলাকায় বোমাবাজিকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বোমার আঘাতে দু’জন পুলিস কর্মী এবং একজন তৃণমূল কর্মী জখম হন। স্থানীয়রা রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ শুরু করেন। অভিযোগ, বোমার পাশাপাশি গুলিও চালানো হয়েছে। বারাকপুর লোকসভার অন্তর্গত আমডাঙার তারাবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তেঁতুলিয়া এফপি স্কুল চত্বরে দলের পোলিং এজেন্টকে বসাতে গিয়েছিলেন অর্জুন সিং। সেখানে স্থানীয় লোকজন তাঁকে তাড়া করে বলে অভিযোগ। আমডাঙার বেড়াবেড়িয়ার ১৬৪ নম্বর বুথের ইভিএমে পদ্মফুলের বোতামের উপর সেলোটেপ লাগিয়ে রাখার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
এদিকে, বিক্ষিপ্ত দু’-একটি অশান্তি ছাড়া হাওড়া ও উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে তেমন কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। কয়েকটি জায়গায় বিজেপি, সিপিএম এবং কংগ্রেসের এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের পুরশুড়ার তিলাডাঙি এলাকায় ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীর লাঠির আঘাতে পুরশুড়ার যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি খোকন মল্লিক সহ বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী জখম হন। এছাড়াও আরামবাগের বহু বুথে বিরোধী এজেন্টদের বসতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করে।