সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
প্রসূনবাবুর অভিযোগ, জওয়ানরা মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। যদিও এই নিয়ে জেলা প্রশাসন বা পুলিসের কর্তারা মুখ খুলতে চাননি। হাওড়া সিটি পুলিসের এক কর্তা এদিন বিকেলে জানিয়েছেন, প্রিসাইডিং অফিসারের কাছে গোটা ঘটনার রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ওই বুথের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসারের কাছেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরই কিছু বলা সম্ভব। এদিকে, এই নিয়ে এদিনই জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।
জেলা তৃণমূলের সভাপতি (সদর) অরূপ রায় বলেন, এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তা গণতন্ত্রের পক্ষে লজ্জার। অবিলম্বে দোষী জওয়ানদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। একজন প্রার্থীকে কেন বুথে ঢুকতে দেওয়া হবে না, তার জবাব কমিশনকে ও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দিতে হবে। এদিন প্রসূনবাবু অভিযোগ করেন, আমি বুথে ঢুকতে গেলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা আমাকে বাধা দেয়। আমি তাদের বলি, আমি বর্তমানে একজন এমপি। এই কেন্দ্রের প্রার্থী। বুথে ঢোকার সম্পূর্ণ অধিকার আমাকে নির্বাচন কমিশন দিয়েছে। আমি আমার কার্ডও দেখাই। কিন্তু, জওয়ানরা আমার কথা না শুনে আমাকে মেরে বের করে দেয়। ওই জওয়ানদের মুখ থেকে মদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল।
প্রসূনবাবু এরপর দাশনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেন। কিন্তু, প্রার্থীকে কেন বুথের মধ্যে ঢুকতে বাধা দেওয়া হবে, তা নিয়ে অবশ্য প্রশাসনের অফিসাররা সন্ধ্যা পর্যন্ত মুখ খোলেননি। এদিকে, এই ঘটনার পরই ওই বুথে থাকা জওয়ানদের সেখান থেকে সরিয়ে অন্য জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়। ওই জওয়ানদের সরিয়ে দেওয়া হল কেন, তা নিয়েও তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে।
হাসপাতাল থেকে বেরনোর সময় প্রহৃত প্রসূন। ছবি: পিটিআই