সঠিক বন্ধু নির্বাচন আবশ্যক। কর্মরতদের ক্ষেত্রে শুভ। কর্মক্ষেত্রে বদলির কোনও সম্ভাবনা এই মুহূর্তে নেই। শেয়ার ... বিশদ
এই প্রশিক্ষণ পর্ব শুরুর আগে কলকাতায় পঞ্চায়েত দপ্তরের অফিসাররা প্রথমে জেলার পঞ্চায়েত দপ্তরের অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেবেন। ভোট মিটলেই সেই প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হবে। এরপর জেলার অফিসাররা তাঁদের জেলার পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরের জনপ্রতিনিধি ও অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেবেন। জেলার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এই প্রশিক্ষণ পর্ব চলবে। এর জন্য প্রতিটি জেলায় আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হয়েছে। গোটা জুন মাস জুড়ে এই প্রশিক্ষণ চলবে। ভোটের মধ্যেই পঞ্চায়েত দপ্তর থেকে জেলায় জেলায় এই নির্দেশ পাঠানো হয়েছে। রাজ্যের ৩২২৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫৮ হাজার নির্বাচিত সদস্যকে ওই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে পঞ্চায়েত দপ্তরের এক কর্তা বলেন, গত বছর সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি তৈরি করতে পুজো চলে আসে। গ্রাম পঞ্চায়েতের কমিটি গঠন হয় পুজোর পরে। তার কাজ শুরু হতে সময় লেগে যায়। মাস দুয়েক ধরে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের কমিটি গঠনের পর কাজ শুরু করতে লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে যায়। ফলে সব কাজ থমকে যায়। তাই ২৭ মে লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি উঠে যাওয়ার পর পুরোদমে কাজ শুরু করতে হবে। এজন্য প্রথম কাজ হল প্রশিক্ষণ পর্ব। সেই কাজ জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হয়ে যাবে।
বর্তমানে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত সশক্তিকরণ কর্মসূচিতে গড়ে এক থেকে দেড় কোটি টাকা পায়। সেই টাকায় যাতে গ্রামীণ এলাকার উন্নয়ন করা যায়, পরিষেবা দেওয়া যায়, তার জন্যই ওই প্রশিক্ষণের আয়োজন। তাই সব কাজে স্বচ্ছতা থাকা খুব জরুরি। সেই কাজের পরিকল্পনার জন্য গ্রামের মানুষের মতামত নিতে বলা হয়েছে। এজন্য বছরে দু’বার বৈঠক করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।