যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
গত বছর দূর্গাপুজোয় আবোল তাবোল থিম বানিয়ে চমকে দিয়েছিল নবীন পল্লি পুজো কমিটি। সুকুমার রায়ের অমর সৃষ্টি আবোল তাবোলের ১০০ বছর। লেখককে শ্রদ্ধা জানিয়ে নবীন পল্লি আবোল তাবোল থিম করেছিল। বানানোর সূত্রে গোটা বইটিই যেন উঠে এসেছিল পাড়াজুড়ে। পুজো মিটে গেলেও এলাকাটির চেহারা একই রয়ে গিয়েছে। তাই ভিড় জমাচ্ছেন ফটোপ্রেমীরা। অক্টোবরে এই পুজো ছিল চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে। তবে তারপর এখনও পর্যন্ত ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামে আবোল তাবোল পাড়া নিয়ে তৈরি হয়েই চলেছে রিল। সেগুলি রীতিমতো ভাইরাল। গোটা পাড়াটিই এখন যেন হয়ে উঠেছে একটি ফটো-স্টুডিও।
দোল, পয়লা বৈশাখ, ২৫ বৈশাখ বা অন্যান্য দিনেও স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা ফেসবুক ফটোগ্রাফি, স্ট্রিট ফটোগ্রাফির নেশায় নবীন পল্লির গলিতে ভিড় জমাচ্ছেন। উঠতি ফটোগ্রাফাররা আসছেন। মডেলিংয়ে সদ্য নাম লিখিয়েছেন এমন তরুণ-তরুণীরাও আসছেন। রোজই কোনও না কোনও বাড়ির দেওয়ালে কিংবা দরজা-জানালায় পোজ দিয়ে ছবি তুলছেন তরুণ-তরুণীরা। বিয়ের মরশুমে রোজই প্রি ওয়েডিং ফটোশ্যুট হয়েছে বলে জানালেন এ পাড়ার বাসিন্দা এবং নবীন পল্লি পুজোর উদ্যোক্তা অমিতাভ রায়। ‘ছড়া লেখা সাদাকালো দেওয়াল ছবির ব্যাকগ্রাউন্ডের জন্য দারুণ’, বলেন ফটোগ্রাফার অনীক ত্রিবেদী। বলেন, ‘প্রি ওয়েডিং এবং মডেলিংয়ের ফটোশ্যুট এখানে দারুণ হচ্ছে।’
‘রোজ রোজ পাড়ায় যে বে পাড়া থেকে লোকজন আসছেন, অস্বস্তি লাগে না?’ প্রশ্নের উত্তরে ‘একদমই না,’ বললেন পুজো উদ্যোক্তা অমিতাভ রায়। তিনি উল্টে বলেন, ‘এভাবে মানুষের মনে জায়গা করে নেওয়া সচরাচর হয় না। সোশ্যাল মিডিয়াতে পাড়ার ছবি ভাইরাল, এটাই বড় প্রাপ্তি।’
তিনি জানান, বেঙ্গালুরু, আমেদাবাদ থেকে ফোন আসছে। এখন কলকাতায় গেলে আবোল তাবোলের ছবি তোলা যাবে কি না জিজ্ঞাসা করেছেন অনেকে। শনি আর রবিবার যেন দুর্গাপুজোর মতো ভিড়।