যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
হাওড়া সদর লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মূল লড়াই বিজেপি’র রথীন চক্রবর্তী। এই দুই মুখকে এই কেন্দ্রের সকলেই কমবেশি চেনেন। এই দ্বৈরথের মধ্যে লড়াইয়ে ঢুকে পড়েছেন প্রসূন লাহিড়ি ও রথীন গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁরা অবশ্য দাঁড়িয়েছেন নির্দল হিসেবে। লাহিড়িবাবু অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী, থাকেন বালির দেওয়ানগাজি রোডে। ভোটে দাঁড়ানোর ইচ্ছা তাঁর দীর্ঘদিনের। তাই অবসর নেওয়ার পর দাঁড়িয়ে পড়েছেন ভোটে। সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে প্রচারও করছেন তিনি। সাইকেল নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরছেন প্রসূন লাহিড়ি। তিনি বলেন, বালিতে উন্নত মানের কোনও হাসপাতাল নেই, বর্ষায় বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়ে যায়, পাঁচ বছরের উপর হাওড়া ও বালিতে পুরসভার ভোট হয় না। হাওড়ার মানুষের সার্বিক উন্নয়নের কথা ভেবেই আমার ভোটে দাঁড়ানো।
দ্বিতীয়জন রথীন গঙ্গোপাধ্যায়। রুটি-রুজি বলতে ছোটখাট ব্যবসা রয়েছে তাঁর। বাড়ি বেলুড় মঠ এলাকায়। দেশ এবং রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় যা কিছু অনৈতিক কাজ চলছে, তার প্রতিবাদেই তাঁর ভোটে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত। বিশেষ করে বাংলার শিক্ষা, অর্থনীতি এবং কর্মসংস্থান নিয়েই তাঁর চিন্তা। তবে বেশি না ঘুরে নিজের পাড়াতেই প্রচার করেছেন রথীন গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, দেশ ও রাজ্যের কথা ভেবেই আমার ভোটে দাঁড়ানো।
ভোটদাতাদের ভ্রান্তিবিলাস হবে না তো? বিজেপি’র প্রার্থী রথীন কিংবা তৃণমূলের প্রসূন ভেবে ভোটদাতারা কেউ এই দুই নির্দলকে ভোট দিয়ে দেবেন না তো? প্রশ্ন করতে না করতেই রথীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, এখন আর নাম দেখে কেউ ভোট দেন না। সকলেই ‘প্রতীক’ দেখে বোতাম টিপে দেন। ফলে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে আমার নাম গুলিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই। ২০ মে হাওড়াবাসীর নজর থাকবে তৃণমূলের প্রসূন এবং বিজেপি’র রথীনের দিকে। সেই হাই ভোল্টেজ লড়াইয়ে চাপা পড়ে যাবে দ্বিতীয় জুটির লড়াই। কিন্তু তাঁরা যাঁদের কাছে গিয়ে প্রচার করলেন, তাঁদের ভোট কি এই নির্দল প্রসূন-রথীন পাবেন? ৪ জুন গণনার পরই সবটা পরিষ্কার হবে।