কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপের কাশীনগরের বাসিন্দা ওই মহিলা কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে ছিলেন। লকডাউনপর্বে তিনি তাঁর বাপেরবাড়ি দিগম্বরপুরের রামনগরাবাদে আসেন। সরকারি নিয়ম অনুসারে তাঁকে দিগম্বরপুরের কর্মতীর্থ বিল্ডিংয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখানে একাই ছিলেন ওই মহিলা। ওই সেন্টারের দায়িত্বে ছিলেন জাহির। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ওই মহিলার কাছে যান বলে জানা যায়। তখনই তাঁকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ।
ঘটনাটি জানাজানি হতেই আশপাশের গ্রাম থেকে কয়েকশো পুরুষ ও মহিলা এসে ওই সেন্টারের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তাঁরা ওই ভিলেজ পুলিসের শাস্তির দাবিতে সরব হন। খবর পেয়ে ঢোলাহাট থানার পুলিস এলে তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন উত্তেজিত গ্রামবাসীরা। রাতভর ওই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। এদিন সকালে ওই ভিলেজ পুলিসকে উদ্ধার করতে আরও পুলিসকর্মী ঘটনাস্থলে যান। পাঠানো হয় মন্দিরবাজারের ডিএসপিকে। এরপর পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়। গ্রামবাসীদের ঘেরাওয়ের মধ্যে থেকে অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে যাওয়ার সময় গোলমাল শুরু হয়। উত্তেজিত মানুষকে ছত্রভঙ্গ করতে বলপ্রয়োগ করতে হয় পুলিসকে। এর মধ্যেই শুরু হয় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর। গ্রামবাসীদের ছোঁড়া ইটে কয়েকজন পুলিসকর্মী আহত হন বলে জানা গিয়েছে। কোনওমতে ওই অভিযুক্তকে নিজেদের হেফাজতে নিতে সফল হয় পুলিস। আক্রান্ত মহিলাকেও সেখান থেকে বের করে আনা হয়। এলাকায় আর যাতে উত্তেজনা না ছড়িয়ে পড়ে, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করতে হয় পুলিসকে। পুলিসকর্তারা জানিয়েছেন, এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।