কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে বেডের চাহিদা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারি-ইএসআই-বেসরকারি হাসপাতাল মিলিয়ে প্রায় এক হাজার শয্যা বাড়াচ্ছে রাজ্য সরকার। এর মধ্যে হাওড়ায় দুটি সরকার অধিগৃহীত বেসরকারি হাসপাতালে ৩০০টি বেডের বন্দোবস্ত করা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন ইএসআই হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে বেড বাড়ানো হচ্ছে। সন্ধ্যায় এক প্রেস বিবৃতিতে আমরি হাসপাতালগোষ্ঠী জানিয়েছে, তারা করোনা চিকিৎসায় ৮৯টি বেড বাড়াচ্ছে। যুক্ত হচ্ছে তাদের ঢাকুরিয়ার অ্যানেক্স বাড়ির ৭৫টি শয্যা এবং মুকুন্দপুরের ইউনিটে আরও ১৪টি শয্যা।
বাড়ছে সাধারণ রোগীদের শয্যা সংখ্যাও। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে সাধারণ রোগীদের জন্য ইমার্জেন্সি বাড়ি বা ক্যাজুয়ালিটি ব্লকে (সিবি) ১২০টি শয্যা এবং স্ত্রীরোগ, প্রসূতি ও শিশু চিকিৎসায় মেডিক্যালের অদূরেই বউবাজারের লেডি ডাফরিন হাসপাতালে ৩০০ শয্যার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মেডিক্যালের ইডেন বাড়িতে শুধুমাত্র করোনা আক্রান্ত প্রসূতিদের প্রসব এবং পরবর্তী চিকিৎসা হবে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, বালিটিকুরি, ব্যান্ডেল ও উলুবেড়িয়া— রাজ্য ইএসআই-এর আওতায় থাকা এই তিনটি হাসপাতালে করোনা শয্যা ১০০ করে মোট ৩০০টি বাড়ানো হচ্ছে। ইএসআই জোকায় সবশুদ্ধ ৪৭০টি শয্যা রয়েছে। সরকার অধিগ্রহণ করার পর সেখানে ১০০টি করোনা বেড চালু রয়েছে। আরও ৬৮টি শয্যা বাড়ানো হচ্ছে বলে জানান সেখানকার সুপার ডাঃ এম এন রায়।
কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গ্রিন বাড়িতে আরও ৫০টি কোভিড শয্যা ও সুপার স্পেশালিটি ব্লকে আরও ১৫টি করোনা এইচডিইউ বেড বাড়ানো হচ্ছে। কামারহাটি সাগর দত্ত হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহে ৫০টি করে পর্যায়ক্রমে বেড বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। এছাড়া এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে ২৫-৩০টি সিসিইউ শয্যা বাড়ানো হবে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে ফের কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন হাসপাতালের আউটডোরে। আনলক-১’এর পর আউটডোর পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক হতে শুরু করলেও, ফের ভিড় প্রায় ৩০ শতাংশ কমেছে।