কর্মপ্রার্থীরা বেশ কিছু সুযোগের সংবাদে আনন্দিত হবেন। বিদ্যার্থীরা পরিশ্রমের সুফল নিশ্চয় পাবে। ভুল সিদ্ধান্ত থেকে ... বিশদ
হাওড়ায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকলেও কন্টেইনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমে যাওয়ায় অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন। জেলা প্রশাসন কন্টেইনমেন্ট জোন ছাড়াও কিছু সংক্রামিত এলাকা বা তার আশপাশের এলাকা নিয়ে আইসোলেশন জোন-এর একটি তালিকাও তৈরি করেছিল। সেই এলাকাগুলির কোথায় কী অবস্থা রয়েছে, নতুন করে কেউ সংক্রামিত হলেন কি না, তা খতিয়ে দেখে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
হাওড়া শহর ছাড়া উদয়নারায়ণপুর এবং জগৎবল্লভপুর ব্লক এলাকায় অনেকগুলি কন্টেইনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। এসব এলাকায় কিছু কন্টেইনমেন্ট জোন বাড়তে পারে। উত্তর হাওড়ার সালকিয়া, ঘুসুড়ি, লিলুয়া এবং বালি-বেলুড় অঞ্চলেও কিছু এলাকা নতুন করে বিধিনিষেধের আওতায় আসতে পারে। জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, আমরা প্রত্যেকদিন পাওয়া ডেটা বা তথ্য বিশ্লেষণ করছি। করোনা কোথায় কতটা ছড়াচ্ছে, তা ওই বিশ্লেষণে স্পষ্ট হচ্ছে। সেইমতো সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এদিকে, শুক্রবার এই দফার লকডাউনের প্রথম দিনে হাওড়ার অফিসপাড়া (এম জি রোড, আর বি সি রোড, হাট লেন), ময়দান অঞ্চলের চিন্তামণি দে রোড, রাউন্ড ট্যাঙ্ক লেন, পি কে ব্যানার্জি রোড ইত্যাদি রাস্তা ও এলাকা শুনশান থাকল সারাদিন। এসব এলাকায় পুলিসের তৎপরতাও ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে কন্টেইনমেন্ট জোন লাগোয়া বা পাশের এলাকাতেই বিধিনিষেধের কোনও বালাই না-থাকায় সেখানকার বাজারহাট, রাস্তা, দোকানে যথেচ্ছ ভিড় হয়েছে। ফলে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে বাদ যাচ্ছে না কোনও এলাকা। জরুরি পরিষেবা যেমন জল, জঞ্জাল অপসারণ ইত্যাদি বিভাগ ছাড়া হাওড়া পুরভবন, জেলা পরিষদ অফিস, আদালত ইত্যাদি জায়গা এদিন বন্ধ ছিল। পুরভবন সহ কন্টেইনমেন্ট জোনগুলিতে দমকল এবং পুরসভার তরফে তরল রাসায়নিক ছড়িয়ে জীবাণুমুক্ত করার কাজ করা হয়। পুরসভার যে কর্মীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল, সেসব রিপোর্টে নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই বলে জানান এক পদস্থ পুরকর্তা।