কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
রেল পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহতের নাম বিশ্বজিৎ বিশ্বাস (২৬)। তাঁর বাড়ি নদীয়ার ভীমপুরের নতুনপাড়ায়। তাঁর সঙ্গে থাকা কেশব কুমার অবশ্য অক্ষত রয়েছেন। কেশবের বাড়ি বিহারে। রেল পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহারের শ্রীহরপুরে গত কয়েক বছর ধরে থাকছিলেন বিশ্বজিৎ। সেখানেই ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতেন সত্যজিৎ বিশ্বাস। দিন পাঁচেক আগে ভীমপুরের বাড়িতে আসেন তাঁর দাদা। গত বৃহস্পতিবার প্রণয়ঘটিত কারণে বাড়িতেই গলায় দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করেন। দাদার মৃত্যুর খবর শুনে বন্ধু কেশবকে সঙ্গে নিয়ে মজফ্ফরপুর প্যাসেঞ্জার ধরেন বিশ্বজিৎ। তাঁদের নামার কথা ছিল নৈহাটি স্টেশনে। কিন্তু, ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়ার কারণে কাঁকিনাড়া স্টেশনে শুক্রবার রাত সওয়া ২টো নাগাদ নামেন দু’জনে। ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেন বেরিয়ে যাওয়ার পরেই তিন দুষ্কৃতীর খপ্পরে পড়েন তাঁরা। ব্যাগ, মোবাইল, টাকাপয়সা ছিনতাই করার চেষ্টা করে দুষ্কৃতীরা। তাতে বাধা দেন বিশ্বজিৎ। তাঁর বন্ধু কেশব এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে থাকা জিআরপিতে খবর দিতে যান। এরই মাঝে দুষ্কৃতীদের খপ্পর থেকে পালানোর চেষ্টা করেন বিশ্বজিৎ। তখনই দুষ্কৃতীরা বোমা ও গুলি করে। কেশব রেল পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে এসে দেখেন ৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের ৩৪ নম্বর বিদ্যুৎ খুঁটির পাশে পড়ে রয়েছে বিশ্বজিতের দেহ।
ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার সকালে কাঁকিনাড়া স্টেশনে যান শিয়ালদহ রেল পুলিস সুপার অশেষ বিশ্বাস। পুলিস কুকুর এনে ঘটনার তদন্ত করা হয়। তবে এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কয়েকজনকে আটক করে রেল পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। প্ল্যাটফর্মের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটায় যাত্রী নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগেও কাঁকিনাড়া স্টেশন চত্বর এলাকায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে। এদিন ট্রেন চলাচল সচল থাকলেও কাঁকিনাড়া স্টেশনে যাতায়াতকারী যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা গিয়েছে।
বিশ্বজিতের ভীমপুরের বাড়িতে মা তাপসী বিশ্বাস ও বৃদ্ধ দাদু-দিদিমা থাকেন। বাবা আশিস বিশ্বাস দ্বিতীয় বিয়ে করে আমেদাবাদে থাকেন। দু’দিনের মধ্যে দুই সন্তানকে হারিয়ে মা তাপসীদেবী শোকস্তব্ধ। নিহতের বন্ধু কেশবকে নৈহাটি জিআরপিতে রাখা হয়েছে। ঘটনার তদন্তের স্বার্থে রেল পুলিস আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে কথা বলছেন। শিয়ালদহ রেল পুলিস সুপার অশেষ বিশ্বাস বলেন, ছিনতাই নাকি অন্য কিছু কারণে খুন করা হয়েছে, তার তদন্ত চলছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।