কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
কেমন সেই পদ্ধতি? রাজ্যের কৃষি দপ্তরের তন্তু ফসল বিভাগের সহ অধিকর্তা (সদর) রামপ্রসাদ ঘোষ জানিয়েছেন, পাটের জমির নিচু অংশে একটি ছোট পুকুর তৈরি করতে হবে। যাঁদের জায়গা কম, তাঁরা ছয় ইঞ্চি গভীরতা করে পুকুর কাটতে পারেন। সেক্ষেত্রে ওই গর্ত কাটতে গিয়ে যে মাটি উঠবে তা দিয়ে পাড় উঁচু করে দিতে হবে। তাতে পুকুরের গভীরতা দু’ফুটের বেশি হয়ে যাবে। এঁটেল মাটি হলে পলিথিনের চাদর বিছানোর দরকার নেই। নতুবা পলিথিন বিছিয়ে গর্তে জল দিয়ে পাট পচানোর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে পাট পচানোর পুরনো পুকুর থেকে কিছুটা মাটি ও জল এনে ওই গর্তে যোগ করতে পারলে ভালো। সঙ্গে কিছুটা ঝোলা গুড়, অ্যামোনিয়াম সালফেট, নরম শণ পাট, ধৈঞ্চা দিতে পারলে কয়েক দিনের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয়ে যায়। এতে পাটের পচন দ্রুত হয়। চিরাচরিত পদ্ধতিতে পাট পচাতে যেখানে ১৮-২০ দিন সময় লাগে, এই পদ্ধতিতে ১০-১২ দিনের মধ্যেই পাটের পচন হয়ে যাবে। এতে পাটের গুণমান বাড়বে। রংও ভালো হবে। পলিথিনের চাদর বিছানোর আগে গর্তে ৫০০ গ্রামের মতো ফোরেট দানা দিতে পারলে ইঁদুরের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। পাটের আঁশ ছাড়িয়ে নিয়েও জাঁক দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে পাটের আঁশ ছাড়ানোর যন্ত্র ব্যবহার করতে পারেন চাষিরা। পাট পচানোর জন্য জমিতে তৈরি করা পুকুরে পরবর্তীতে চুন দিয়ে পিএইচ মাত্রা ঠিক করে নিয়ে মনোসেক্স তেলাপিয়া মাছ চাষ করা যেতে পারে। জলের সমস্যার কারণে পাট পচানোর অসুবিধা দূর করতে রাজ্য সরকারের তন্তু ফসল বিভাগের তরফে নদীয়া ও মুর্শিদাবাদে চলতি বছর ২০টি প্রদর্শনী পুকুর তৈরি করা হয়েছে। নদীয়ার তেহট্ট ও মুর্শিদাবাদের বহরমপুর মহকুমায় পাট পচানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি জলের সমস্যা তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ব্যাসিলিয়াস পিউমিলাস নামে বিশেষ ধরনের ব্যাকটেরিয়ার তিনটি প্রজাতি পাট পচার জন্য দায়ী। সেইমতো এই প্রজাতিগুলিকে নির্দিষ্ট ফর্মুলায় পাউডারের সঙ্গে মিশিয়ে ক্রাইজাফের তরফে তৈরি করা হয়েছে একটি বায়ো ফার্টিলাইজার। বদ্ধ জলাশয়ে পাটের প্রতিটি স্তরে এই বায়ো ফার্টিলাইজার বা ‘ক্রাইজাফ সোনা’ ছড়িয়ে দিতে হবে। জাগ দিতে সিমেন্টের বস্তায় মাটি ভরে পাটের উপর চাপাতে হবে। এতে দ্রুত যেমন পাট পচাতে হবে। তেমনই একই জলে বারবার পাট পচানো যাবে। এমনকী পাট পচানো হয়ে গেলে ওই জল কৃষিকাজে ব্যবহার করা যাবে।