কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
গত মাসের শেষে বেহাল অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের টোটকা খুব একটা কাজে আসেনি। বাণিজ্যিক গাড়ি এবং দু’চাকার যানের বিক্রির রিপোর্ট তেমনটাই বলছে বলে ওই সংগঠনের দাবি। এসআইএএমের প্রেসিডেন্ট রঞ্জন ওয়াধেরা বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, গাড়ি বিক্রি বাড়াতে ক্রেতাদের আকর্ষণীয় ছাড় বা সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে। তার জন্য সরকারি সাহায্য একান্ত প্রয়োজন। জিএসটির হার ২৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৮ শতাংশ করলে গাড়ির দাম অনেকটাই কমানো সম্ভব হবে। ফলে চাহিদা বাড়তে পারে। একইসঙ্গে বলেন, অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিমতো অটোমোবাইল শিল্পের জন্য নির্দিষ্ট নীতি অবিলম্বে প্রয়োগ করা প্রয়োজন। সামনেই উৎসবের মরশুম। তাই দেরি না করে সরকারকে এখনই নীতি কার্যকর করতে হবে। যাতে উৎসবের সময়টাকে গাড়ি বিক্রির জন্য ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারে সংস্থাগুলি।
পরিস্থিতি যে কতটা উদ্বেগজনক তা গত রবিবার আগস্ট মাসের বিক্রির পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট। মারুতি-সুজুকি, টাটা মোটরস, টয়োটাসহ একাধিক সংস্থা তাদের মাসিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। মারুতি জানিয়েছে, আগস্টে বিক্রি গত বছরের চেয়ে কমেছে প্রায় ৩৪.৩ শতাংশ। টাটা মোটরসের বিক্রি কমেছে ৫৮ শতাংশ এবং হুন্ডাই মোটরসের ১৬.৫৮ শতাংশ। একই অবস্থা টয়োটা, হোন্ডা এবং মহীন্দ্রার। টয়োটার ডেপুটি এমডি এন রাজার মতে, বাজারে চাহিদা নেই। বহু ক্রেতা গাড়ি কেনা স্থগিত রাখছেন। বিভিন্ন রাজ্যে বন্যার জেরেও গাড়ি বিক্রি ধাক্কা খেয়েছে।
গাড়ি বিক্রির এই করুণ চিত্র বদলাতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দিল কেন্দ্রীয় সরকার। রবিবার অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বলেন, জিএসটি কাউন্সিলকে সর্বোচ্চ স্লাব ২৮ শতাংশ থেকে কমানোর ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, গাড়িসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের উদ্যোগীদের সঙ্গে সরকার বৈঠক করেছে। প্রত্যেকেই জিএসটি কমানোর আর্জি জানিয়েছে। বিষয়টি তাঁরা পর্যালোচনা করছেন। অর্থমন্ত্রীর এই বক্তব্যে কিছুটা আশার আলো দেখছে দেশের অটোমোবাইল ক্ষেত্রগুলি।