বিদ্যায় সাফল্যও হতাশা দুই বর্তমান। নতুন প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠবে। কর্মপ্রার্থীদের শুভ যোগ আছে। কর্মক্ষেত্রের ... বিশদ
দিনহাটা-১ ব্লকের গোসানিমারি হাইস্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ১৬১ জন আবাসিককে সোমবার খাসির মাংস খাওয়ানো হয়। মঙ্গলবার সেখানকার আবাসিকদের রাতের খাবারের মেনু ছিল ডাল, ভাত, ভাজা এবং পাঁঠার মাংসের ঝোল। বুধবার রাতে কাতলা মাছ খাওয়ানো হয়। অন্যদিকে, মঙ্গলবার দিনহাটা-২ ব্লকের নাজিরহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের আবাসিকদের পায়রার মাংস ও রুটি খাওয়ানো হয়। মেনুতে মাছ, মাংস পেয়ে এখন খুশি বিক্ষোভ করা ওই আবাসিকরা।
তাঁদের কথায়, কোথায় কী হচ্ছে জানি না। আমাদের এখানে খাওয়াদাওয়া নিয়ে আর কোনও অভিযোগ নেই। সকালে টিফিন দেওয়ার পাশাপাশি দু’বেলা করে ডাল, ভাত, সব্জি, ভাজা দেওয়া হচ্ছে। মাঝেমধ্যে রুচি বদলের জন্য ডিম, মাছ, মাংস ভাতের ব্যবস্থা প্রশাসন করছে। এ জন্য প্রশাসনকে তাঁরা ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
গোসানিমারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের ভেনু ইনচার্জ সোমনাথ চক্রবর্তী বলেন, এখানে ১৬১ জন রয়েছেন। তাঁরা মুম্বই, দিল্লি, হরিয়ানা, হায়দরাবাদ সহ অন্যান্য এলাকা থেকে ফিরেছেন। আমরা সকলকে মাছ, মাংস সহ অন্যান্য আমিষ খাবার দিচ্ছি।
লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকে ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকরা দিনহাটায় নিজের এলাকায় ফিরতে শুরু করেছেন। তাঁদের ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পর্যবেক্ষণে রাখা হচ্ছে। মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় এ জন্য কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। কিন্তু আবাসিকদের একাংশের অভিযোগ ছিল, দু’বেলে ভাতের সঙ্গে শুধু ডাল আর সোয়াবিনের সব্জি দেওয়া হচ্ছিল। আমিষ খাবারের দাবিতে সম্প্রতি মহকুমার একাধিক সেন্টারের আবাসিকরা সরব হন। এরপরেই প্রশাসন সিদ্ধান্ত বদল করে।
প্রসঙ্গত, ভিনরাজ্য থেকে ফেরা মহকুমার পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য দিনহাটা মহকুমায় মোট ২৪টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। এরমধ্যে দিনহাটা-২ ব্লকে ন’টি, দিনহাটা-১ ব্লকে সাতটি, সিতাই ব্লকে চারটি ও দিনহাটা পুরসভা এলাকায় চারটি সেন্টার আছে। ওই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলিতে সব মিলিয়ে ২০০০’র বেশি লোকের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও কিছু এলাকায় এমন সেন্টার করার জন্য কিছু জায়গা চিহ্নিত করে রাখা হয়েছে।
নয়ারহাটে শুধুমাত্র মহিলা শ্রমিকদের জন্য একটি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। গোসানিমারি হাইস্কুলের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের আবাসিক ফুলবাড়ির এক বাসিন্দা বলেন, বেঙ্গালুরুতে রাজ মিস্ত্রির কাজ করতাম। লকডাউনের জন্য সেখানে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমরা ন’জন গ্রামে ফিরেছি। প্রথম দিকে খাবারের ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ ছিল। কিন্তু এখান আর কোনও অসন্তোষ নেই।