কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
এদিন ট্যুইটারে সঞ্জয় রাউত জানান, ‘আমাকে আগেই এক শীর্ষ বিজেপি নেতা জানিয়েছিলেন, আপনার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে। উত্তরে বলেছিলাম, আমার কথাবার্তা যে কেউ চাইলেই শুনতে পারে। আমি বালাসাহেব থ্যাকারের শিষ্য। কাউকে লুকিয়ে কিছু করি না।’ বিধানসভা নির্বাচন পরবর্তী জোট নিয়ে দর কষাকষির সময় শারদ পাওয়ার, শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব থ্যাকারের ফোনও ট্যাপ করা হয়েছিল বলে আগেও সরব হয়েছিল এনসিপি-শিবসেনা। গতকাল সরকারিভাবে বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল দেশমুখ। তিনি জানিয়েছেন, ‘প্রাক্তন সরকারের আমলে বিরোধী নেতাদের ফোন ট্যাপিংয়ের বিভিন্ন অভিযোগ নিয়ে মহারাষ্ট্র পুলিসের সাইবার সেলকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ তাঁর আরও অভিযোগ, সেই সময় ফোন ট্যাপিং ও নজরদারিতে ব্যবহৃত সফটওয়্যার সম্পর্কে জানতে কয়েকজন অফিসারদের ইজরায়েলে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, ‘ফোন ট্যাপিং মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি নয়। আমার সরকার এমন কোনও নির্দেশ দেয়নি। যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতার ব্যাপারে সারা দেশ জানে। রাজ্য সরকার তদন্তের নির্দেশ দিতেই পারে। আমার অনুরোধ দ্রুত তদন্ত করে রিপোর্ট প্রকাশে আনুক সরকার। মহারাষ্ট্রের মানুষ সত্যিটা জানতে চায়। প্রয়োজনে ইজরায়েলে গিয়েও তদন্ত করা হোক।’ তাঁর আমলে শিবসেনার এক নেতাই স্বরাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি।
রাজ্যসভার সদস্য এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে রাজধানীতে ‘ওয়াই’ ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পান এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ার। গত ২০ জানুয়ারি থেকে তাঁর দিল্লির বাসভবন থেকে নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়েই কেন্দ্রে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন মহারাষ্ট্রের সংখ্যালঘু বিষয়কমন্ত্রী তথা এনসিপি মুখপাত্র নবাব মালিক। রাজ্যের মন্ত্রী জয়ন্ত পাটিলের মতে, মহারাষ্ট্রে ধাক্কা খেয়ে এমন আচরণ করছে বিজেপি।