কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
রেলমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতা-মুম্বই রুটে প্রায় ২ হাজার ৩২৮ কিলোমিটার লম্বা ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির কথা ঘোষণা করা হতে পারে এবারের বাজেটে। যার নাম দেওয়া হবে ইস্ট-ওয়েস্ট ডিএফসি। অন্যদিকে, খড়্গপুর থেকে বিজয়ওয়াড়া পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ১১৪ কিলোমিটার পর্যন্ত ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হতে পারে আসন্ন সাধারণ বাজেটে। এর নাম দেওয়া হবে ইস্ট কোস্ট ডিএফসি। এই দুটি রুট নিয়ে অবশ্য দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছে রেলমন্ত্রকে। অবশেষে এতে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডিএফসির পাশাপাশি আরও যে প্রায় চার হাজার কিলোমিটার নতুন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির পরিকল্পনা করেছে রেলমন্ত্রক, সেইসব রুটের ডিপিআর (ডিটেইল প্রজেক্ট রিপোর্ট) তৈরির কাজও প্রায় শেষের পথে। বাজেট ঘোষণার আগেই তা চূড়ান্ত করে দেওয়া হতে পারে। তবে নতুন নতুন ফ্রেট করিডর প্রকল্প নেওয়া হলেও ভারতীয় রেলের প্রথম দুটি ফ্রেট করিডরের কাজই এখনও সমাপ্ত হয়নি। উল্টে প্রকল্প খরচও উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে বিলম্বের কারণে।
গত বাজেটেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন ঘোষণা করেছিলেন, রেলের পরিকাঠামোগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে পরবর্তী ১২ বছরে ৫০ লক্ষ কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। রেলমন্ত্রকের শীর্ষ সূত্র জানাচ্ছে, ওই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যেই আরও নতুন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরি করতে চাইছে কেন্দ্র। যাতে মালগাড়ির জন্য সম্পূর্ণ আলাদা রুট তৈরি হয়ে রেলের পণ্য পরিবহণেও গতি বাড়ে, এবং একইসঙ্গে কার্যত বিনা বাধায় আরও দ্রুত গতিতে যাত্রীবাহী ট্রেনও চলাচল করতে পারে। ‘চাহিদা’ মেনে বেশি মাত্রায় চালানো যেতে পারে বেসরকারি ট্রেনও। ইতিমধ্যেই দিল্লি-মুম্বই এবং দিল্লি-কলকাতা রুটে ট্রেনের গতি বৃদ্ধি করে ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রেলমন্ত্রক। আরও ডিএফসি তৈরি হলে দেশের অন্য সেকশনেও যাত্রীবাহী ট্রেনের এই গতিবেগ বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। এমনটাই জানিয়েছে রেলমন্ত্রক। বর্তমানে যে ইস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডরের কাজ চলছে, তার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে রয়েছে ২০৩ কিলোমিটার। বিহারের শোননগর থেকে পশ্চিমবঙ্গের ডানকুনি পর্যন্ত এই ইস্টার্ন ডিএফসির কাজ হচ্ছে পিপিপি মডেলে। আরও প্রায় চার হাজার কিলোমিটার নতুন ডিএফসির কিছু অংশের কাজও পিপিপি মডেলে করা হতে পারে।