কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সূচনা। ব্যবসায়ীদের উন্নতির আশা রয়েছে। বিদ্যার্থীদের সাফল্যযোগ আছে। আত্মীয়দের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দেবে। ... বিশদ
কীভাবে বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় ডাক বিভাগ? তারা ঘোষণা করেছে, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি) এগতে ইচ্ছুক দপ্তর। তাদের বক্তব্য, দেশে যে ১.৫৫ লক্ষ পোস্ট অফিস আছে, তার মধ্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজারই গ্রামে অবস্থিত। সেখানে অন্যান্য কাজের পাশাপাশি ই-কমার্স এবং ই-গভর্ন্যান্স পরিষেবাও দেওয়া হয়। সেই পরিকাঠামোকে নিজেদের কাজে লাগাতে পারে কোনও বেসরকারি সংস্থা। ডাক বিভাগের হাতে আছে তিন লক্ষের বেশি গ্রামীণ ডাকসেবক। গ্রুপ-সি কর্মী আছেন প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার। আছে ৪০ হাজার অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট ফোন, যা অফিসের কাজে ব্যবহার করা হয়। ‘দর্পণ’ প্রকল্পের আওতায় আছে ইন্টারনেট সংযোগ সমৃদ্ধ প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডিভাইস। এছাড়াও রয়েছে ১৯০টি পার্সেল হাব, আটটি ইন্টিগ্রেটেড পার্সেল সেন্টার বা ১ হাজার ৩৮৬টি মেল মোটর সার্ভিস অপারেটিভ ভেহিকেল। এছাড়া দপ্তরের হাতে আছে নিজস্ব ৪ লক্ষ ৮৫ হাজার লেটার বক্স, যা নিজেদের মতো করে কাজে লাগাতে পারে কোনও বেসরকারি সংস্থা। মোট কথা, দেশজুড়ে যে বিপুল কর্মী ও পরিকাঠামো রয়েছে, তাকে বেসরকারি পরিষেবার কাজে ব্যবহার করতে আগ্রহী যোগাযোগ মন্ত্রক। কীভাবে সেই কাজে পা ফেলা যায়, তারই দিশা খুঁজছে সংস্থাটি।
এর আগেও বিভিন্ন সংস্থার হয়ে কাজ করেছে ডাক বিভাগ। সোনার কয়েন বা ঘড়ি বিক্রি থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে পরিষেবা দিয়েছে পোস্ট অফিসগুলি। সম্প্রতি ই-কমার্স সংক্রান্ত বেসরকারি সংস্থার হাত ধরেও ক্রেতার ঠিকানায় পণ্য পাঠাচ্ছে তারা। কিন্তু যখনই পিপিপি মডেলে কোনও কাজ হবে, তখন বেসরকারি লগ্নি এবং দায়বদ্ধতার প্রশ্ন আসবে। তাহলে কি ঘুরপথে বেসরকারি কাজের জন্যই দায়বদ্ধ হতে চলেছে ডাক বিভাগ? সেই জল্পনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না কর্মীরা। তাতেই ক্ষোভ জমছে দপ্তরের অন্দরে।