দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
বুধবার বিকেলের হিসেব বলছে, ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৪১৫ জন স্নাতকে ভর্তির অভিন্ন পোর্টালটিতে নাম রেজিস্ট্রেশন করেছেন। কিন্তু প্রোফাইল তৈরি করেছেন ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৫ জন। আর কোর্সে আবেদন করেছিলেন ২ লক্ষ ১৫ হাজার ৬০৬ জন। অর্থাৎ, রেজিস্ট্রেশন করেও কোর্সে আবেদন করেননি অন্তত ৪৪ হাজার জন। বৃহস্পতিবারও রেজিস্ট্রেশনের তুলনায় অনেক কম ছাত্রছাত্রী শেষ পর্যন্ত কলেজ বা কোর্স বাছাই করেছেন। এই পরিস্থিতি কেন? পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা বলছেন, এর পিছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। পড়ুয়াদের একটা অংশ একটু জল মেপে নিতে চাইছেন। সেটা কীরকম? কোন কলেজে কোন কোর্সে বেশি আবেদন জমা পড়ছে, তা তাঁরা দেখতে পারছেন। যাঁরা নম্বরের দিকে একটু পিছিয়ে রয়েছেন, তাঁরা ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য কম চাহিদার কলেজগুলি বাছতে চাইছেন। যত দিন এগবে, সেই ছবিটা তাঁদের কাছে আরও পরিষ্কার হবে। সেই অনুযায়ী কলেজগুলিতে বা কোর্সগুলিতে আবেদন জানাবেন তাঁরা।
পোর্টালের নিয়ম অনুযায়ী, একবার কোনও একটি কোর্সে আবেদন জানালে, সেটা মোট ২৫টি কোর্সের বিকল্প থেকে কমে যাবে। তাই ভেবেচিন্তে এগচ্ছেন তাঁরা। আবেদন করার পরে তাঁরা তাঁদের পছন্দের তালিকার ক্রম উপর নীচে করতে পারবেন। কিন্তু আবেদন করা কলেজ বা কোর্স পাল্টাতে পারবেন না। ধরা যাক, কোনও ছাত্রের প্রথম পছন্দ আশুতোষ কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান মেজর। দ্বিতীয় পছন্দের তালিকায় রয়েছে চারুচন্দ্র কলেজের ইংরেজি মেজর। যদি দেখা যায়, ওই ছাত্রের যা নম্বর তাতে চাহিদা অনুযায়ী প্রথম পছন্দের কোর্সে তিনি ভর্তি হতে পারবেন না, তাহলে তিনি দ্বিতীয় পছন্দকেও প্রথম পছন্দ করতে পারেন। তবে, ওই পছন্দগুলি পাল্টে নতুন কোর্স বাছাই করতে পারবেন না। সেই কারণেই আবেদনে দেরি করছে পড়ুয়াদের একাংশ।
আরও একটি কারণ রয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের পরে প্রোফাইল তৈরি করতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। তাতে নাম, পরিচয়, প্রাপ্ত নম্বর প্রভৃতি লিখতে হচ্ছে। এটা করতে গিয়ে ভুল হচ্ছে অনেকের। তাই প্রোফাইল তৈরি হচ্ছে না। আধিকারিকদের বক্তব্য, এক্ষেত্রে অনেক বেশি সতর্ক থাকতে হবে ছাত্রছাত্রীদের। কোনও সমস্যা হলে টোল ফ্রি নম্বরটিতে কল করা যাবে। তাতে কোনও কারণে সমাধান না হলে ইমেলে সমস্যা জানালে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা সমাধান করে দেওয়া হবে।