কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
প্রসঙ্গত, মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতির অভিযোগ তুলে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কিছুদিন পর এই ইন্দু ভূষণই মমতাকে এই প্রকল্পে যোগদান করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখেন।
লোকে বলে যে, আয়ুষ্মান ভারত নাকি স্বাস্থ্যসাথীর নকল—‘কপিক্যাট’? এই প্রশ্নের উত্তরেই ওই বিস্ফোরক উত্তর দেন ইন্দু। আর প্রকল্পের দিক থেকে কোনটিকে এগিয়ে রাখবেন? স্বাস্থ্যসাথী নাকি আয়ুষ্মান ভারত? এ প্রশ্নে মুচকি হেসে এই আমলা বলেন, আয়ুষ্মান ভারত। তবে স্বাস্থ্যসাথীও খুব ভালো। এদিন খোলা মনে মমতা এবং তাঁর স্বাস্থ্যদপ্তরের ভূয়সী প্রশংসা করেন ইন্দুজি। নাম করে করে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, আপনি আমাদের সঙ্গে আসুন। স্বাস্থ্যসাথী থাকুক, আয়ুষ্মান ভারতও থাকুন। ফের সরকার আপনাকে চিঠি লিখবে। আমিও চিঠি লিখব আপনাকে আনতে। আর আপনি এলে জাতীয় এই স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প আরও সমৃদ্ধ হবে। আপনার স্বাস্থ্যসাথীও বেড়ে উঠবে। তাছাড়া প্রকল্পে না থাকার জন্য ৪০০ কোটি টাকা বাংলার হাত থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে। সে টাকাও ঘরে আসবে। এদিন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর স্বাস্থ্যবিমা প্রকল্প স্বাস্থ্যসাথীর ভূয়সী প্রশংসা করেন ইন্দুজি। বলেন, স্বাস্থ্যসাথী দেখেছি। যথেষ্ট ভালো প্রকল্প। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেন মোদি ঘনিষ্ঠ বিজেপি সরকারের এই অন্যতম শীর্ষ আমলা। বলেন, আয়ুষ্মান ভারত চালুর পর যে প্রথম দু’মাস বাংলা এতে যুক্ত ছিল, অসম্ভব ভালো কাজ করছিল। সত্যি বলতে গেলে, গোটা দেশে প্রথম সারিতে নাম করে ফেলেছিল। তাই আমরাও চাইছি, বাংলা আসুক। এতে যুক্ত হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ যেমন কলকাতার এমপ্যানেলড হাসপাতালে এসে চিকিৎসা করাতে পারবেন, তেমনি বাংলার বাইরে থাকা বাঙালিরাও উপকৃত হবেন।
চালুর পর থেকে ৪৫ লাখ মানুষকে স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইন্দু ভূষণ বলেন, এখন আয়ুষ্মান ভারতে ১৮ হাজার হাসপাতাল যুক্ত আছে। আমাদের লক্ষ্য তা বাড়িয়ে ২৫ হাজার করা। তা হলে কি দেশের ৫০ কোটি জনসংখ্যাকে বিমাপ্রকল্পে আনাই টার্গেট আয়ুষ্মান ভারতের? তিনি বলেন, পুরোদমে চালু হলে প্রতি বছর এক কোটি করে মানুষকে আওতায় আনাই লক্ষ্য। আর লক্ষ্য রোগী সুরক্ষা, চিকিৎসার গুণগত মান বাড়ানো।