যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিকে, কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন দুই বাঙালি পর্বতারোহী রুদ্রপ্রসাদ হালদার এবং রমেশ রায়। বৃহস্পতিবার তাঁদের শেরপাদের সহযোগিতায় ক্যাম্প-৪ থেকে ক্যাম্প-২’তে নামিয়ে আনা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে তাঁদের হেলিকপ্টারে করে কাঠমাণ্ডু নামিয়ে আনা হয়। সেখান থেকে সরাসরি দু’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিন শুক্রবার বিকেলে তাঁদের এজেন্সি ‘পিক প্রমোশন’-এর সূত্রে জানা গিয়েছে, রুদ্রপ্রসাদ এবং রমেশ আগের থেকে অনেক সুস্থ রয়েছেন। অন্যদিকে, শুক্রবার বিকেলের পরই কাঞ্চনজঙ্ঘার বেসক্যাম্প থেকে নতুন করে পাঁচজন শেরপা সামিট ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। সব কিছু ঠিক থাকলে, শনিবার থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘা অভিযানে গিয়ে প্রয়াত বাঙালি পর্বতারোহী কুন্তল কাঁড়ার ও বিপ্লব বৈদ্যের দেহ নীচে নামিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
দীপঙ্কর ঘোষ নিখোঁজ হওয়া প্রসঙ্গে মিঙমা শেরপা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ১১-১২টার মধ্যে দীপঙ্কর মাকালু শৃঙ্গ জয় করেন। তারপরে বাকি শেরপা এবং অন্যান্য পর্বতারোহীদের সঙ্গে তিনি নীচে নেমে আসছিলেন। সেই সময় আচমকাই প্রবল তুষারঝড় শুরু হয় পর্বতশৃঙ্গের আট হাজার মিটারের বেশি উচ্চতায়। তাতেই সব শেরপা এবং পর্বতারোহীরা ছিটকে যান বিভিন্ন জায়গায়। এরপরে সন্ধ্যায় অধিকাংশ শেরপা এবং পর্বতারোহীরা সামিট ক্যাম্পে ফিরে আসলেও, দীপঙ্কর ফেরেননি। শুক্রবার সকালে দীপঙ্করের খোঁজে পাঁচজন শেরপাকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
এজেন্সি মনে করছে, সামিট ক্যাম্প থেকে ৪০০ মিটার উঁচুতে কোথাও নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন দীপঙ্কর। এই খবর আসতেই রাজ্যের পর্বতারোহী মহলে আরও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অন্যদিকে, মাকালু অভিযানে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে ভারতীয় পর্বতারোহী নারায়ণ সিংহের। এছাড়াও বৃহস্পতিবার এভারেস্ট জয় করে ফিরে ক্যাম্প ৪’এ বিশ্রাম নিচ্ছিলেন আরেক ভারতীয় পর্বতারোহী রবি ঠাকুর। তাঁকে এদিন সকালে ক্যাম্প ৪ থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন সহকারী পর্বতারোহীরা। অন্যদিকে, বাঙালি পর্বতারোহীদের উদ্ধার কাজ তদারকি করার জন্য শুক্রবারই নেপালে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যের পর্বতারোহণ বিভাগের উপদেষ্টা দেবদাস নন্দী সহ যুব ও কল্যাণ দপ্তরের পদস্থ আধিকারিকরা।