যারা বিদ্যার্থী তাদের মানসিক অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে। নানা বিষয়ে খুঁতখুঁতে ভাব জাগবে। গোপন প্রেম থাকলে ... বিশদ
এদিকে, এডুকেশন, ফিজিক্যাল এডুকেশন সহ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা বিভাগের বেশ কিছু পরীক্ষার দিন পড়েছে ৪ এবং ৬ জুন। ৩ এবং ৭ জুনও অনেক বিষয়ের পরীক্ষা রয়েছে। এদিকে, এবার ঈদ-উল-ফিতর ৫ জুন হওয়ার কথা। কিন্তু ৪ জুন চাঁদ না দেখা গেলে ঈদ ৬ জুন হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা পড়বেন মহা বিপাকে। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু বলেন, সমস্যাটি সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। সোমবার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের বোর্ড অব স্টাডিজের তরফে বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত ছিল। পরীক্ষাসূচি পরিবর্তন করতে হলেও তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ামক তথা ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ডিন গিয়েছেন আইআইটি মাদ্রাজে। তিনি বলেন, আমিও সমস্যাটির ব্যাপারে জেনেছি। সোমবার ফিরে এ বিষয়ে আলোচনায় বসব।
এদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোনালি চক্রবর্তী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) দীপককুমার কর জানিয়েছেন, ঈদের আগে পরে কোনও পরীক্ষা রাখা হয়নি। দীপকবাবু বলেন, প্রথমে বিষয়টি ভাবা হয়নি। কিন্তু রুটিন তৈরি হওয়ার পর যখন ওটি আমি দেখি, তখন ঈদের দিন ৫ জুন ধরে তার আগের এবং পরের দিনও কোনও পরীক্ষা রাখিনি। কারণ, চাঁদ দেখা যাওয়ার নিরিখে ঈদ এগিয়ে বা পিছিয়ে যেতে পারে।
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীরা বলছেন, অনেকেই দূর-দূরান্তের বাসিন্দা। হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করেন। ঈদের আগের বা পরের দিন ছুটি না থাকলে কেউই সেই সময়টা পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারবেন না। তাই সরকারিভাবে ঈদের ছুটি যাতে একদিন বা দু’দিন বাড়ানো যায়, সেই দাবিও তুলছেন তাঁরা। বর্ধিত দিনগুলি প্রয়োজনে সেকশনাল হলিডেও করা যেতে পারে। বহু ছাত্রছাত্রী এ নিয়ে ফেসবুকেও সরব হয়েছেন। বিভিন্ন সংখ্যালঘু সংগঠনও একই দাবি রাখছে সরকারের কাছে।