শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
ভূগর্ভস্থ জলস্তর ক্রমশ কমে যাচ্ছে। আগামী দিনে জলসঙ্কট বাড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে একদিকে যেমন সাধারণ জনজীবন বিপর্যস্ত হতে পারে, তেমনই কৃষিকাজ, মাছচাষ ও অন্যান্য কাজের ক্ষেত্রেও জলসঙ্কট তৈরি হতে পারে। দেখা যায় বিভিন্ন এলাকায় নর্দমা দিয়ে এই ‘গ্রে ওয়াটার’ গিয়ে পড়ে বড় কোনও জলাশয়ে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই জল দূষিত অবস্থাতেই জলাশয় গিয়ে পড়ে। সেক্ষেত্রে মাছচাষ বা কৃষিকাজের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হয় কৃষকদের। এবার সেকথা ভেবে ওই দূষিত জল ‘ট্রিটমেন্ট’ করে বা শুদ্ধ করে তবেই জলাশয় ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সোকপিট, লিচপিট ইত্যাদি তৈরি করে জল মেশিন দিয়ে শুদ্ধ করা হবে। পরে তা সংরক্ষণ করে আস্তে আস্তে ছাড়া হবে। তখন জলে আর দূষণের সেই মাত্রা থাকবে না।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, পরবর্তীতে বিদ্যালয় সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, গ্রামের বাড়িতেও এই প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। জেলায় মোট ১৭৬৫টি গ্রামে ‘গ্রে-ওয়াটার ট্রিটমেন্ট’ প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। নতুন করে ৩৯৩টি আইসিডিএস ও ৪১৪টি বিদ্যালয়ে এই কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে শৌচাগারের কাজও। এই দু’টি প্রকল্পের জন্য সরকারের কোষাগার থেকে ব্যয় হবে প্রায় ২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা।
এভাবে ট্রিটমেন্ট বা পরিস্রুত করা জল পানীয় হিসেবে ব্যবহৃত না হলেও কৃষিকাজ, মাছচাষের জন্য উপযুক্ত বলে মানছেন দপ্তরের আধিকারিকরা। জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘ধূসর জল’ (গ্রে ওয়াটার) ফের ব্যবহারে জোর দেওয়া শুরু হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় কাজ শুরু হয়েছে। বাকি জায়গাতে কাজ দ্রুত শুরু হবে। বেশিরভাগ টাকা ব্যয় করা হবে গ্রে-ওয়াটার প্রকল্পে।
সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, শৌচাগার তৈরির উপর আমরা বিশেষ জোর দিয়েছি। আর এই কাজ বর্ষা শুরুর আগে সেরে ফেলার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। মূলত, আইসিডিএস ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শৌচাগারের তৈরিতে জোর দেওয়া হচ্ছে।