শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আক্রান্ত ওই মহিলার বাড়ি শ্যামনগরের কাউগাছিতে। তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত। গত লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থীর হয়ে কাজ করেছিলেন তিনি। ভোটের আগে তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাঁকে হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি শাসিয়েছিল শাসকদলের কর্মীরা। তিনি সেসবের তোয়াক্কা না করেই বিজেপির হয়ে কাজ করেছেন। ৪ জুন ভোটের ফল বেরনোর পরও তাঁকে হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
ওই মহিলার অভিযোগ, ফল ঘোষণার পর তাঁর উপরে হামলা চালানো হয়েছিল। পরে এলাকায় তাঁকে ‘একঘরে’ করে দেওয়া হয়। তিনি আয়ার কাজ করেন। ওই ঘটনার পর তাঁর কাজ করতে গিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। তাঁর মেয়ে স্কুলপড়ুয়া। সে আতঙ্কে স্কুলে যেতে পারছে না। তিনি বলেছেন, বুধবার পাড়ায় টাইম কল থেকে তিনি জল আনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় পাড়ার অন্যরাও সেখানে ছিলেন। তাঁরাও তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক। তিনি কল থেকে জল নিতে গেলে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বচসাও হয়। তখন তাঁকে প্রকাশ্যে বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করা হয়। এমনকী, ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপও মারা হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির লোকেরাই তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, এটা পারিবারিক কোনও গণ্ডগোলের কারণে ঘটেছে। পরে রাজনীতির রং লাগানো হয়েছে। এসব করে বিজেপি তৃণমূলের বদনাম করতে চাইছে। অন্যদিকে, বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্যনেত্রী ফাল্গুনী পাত্র বলেন, দলের ওই কর্মীকে ভোটের পর থেকে তৃণমূল ‘একঘরে’ করে রেখেছিল। বিজেপি করার ‘অপরাধে’ এই হামলা। আমরা দোষীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।