শ্লেষ্মা ও বাতজ রোগ বৃদ্ধিতে কাজকর্মে ব্যাঘাত। গৃহাদি নির্মাণ বা সংস্কারে শত্রুর বাধা। ধর্মে মতি। ... বিশদ
মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের ঘটনা। টালিগঞ্জ থানা এলাকায় শরৎ বোস রোড এলাকায় একটি নামী স্ন্যাক্সের দোকানে প্রাতরাশ সারতে যান তরুণী ও তাঁর বন্ধু। সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ দোকানটি খোলার পর খাবার তখনও তৈরি না হওয়ায় তাঁরা দোকানের সামনেই অপেক্ষা করছিলেন। অভিযোগ, সেসময় সেখানে আসেন ১০ থেকে ১২ জন যুবক। অভিযোগ, অকারণেই দোকানের সামনে রাখা তাঁদের স্কুটিতে ধাক্কা মারতে থাকেন ওই যুবকেরা। তৎক্ষণাৎ প্রতিবাদ করেন তরুণী। তখন তাঁকে দেখে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন যুবকেরা। ঘটনার প্রতিবাদ করায় তরুণীর বন্ধুকে মাটিতে ফেলে হেলমেট দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তরুণীর আরও অভিযোগ, ঘটনাস্থলে অনেকে থাকলেও তাঁদের উদ্ধার করতে কেউ এগিয়ে আসেনি। অভিযুক্তরা সকলেই মদ্যপ ছিল বলেও অভিযোগ।
টালিগঞ্জ থানায় গেলে প্রথমে পুলিস অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে বলে দাবি তরুণীর। ডিসি সাউথ প্রিয়ব্রত রায়ের অফিসে যোগাযোগ করার পর টালিগঞ্জ থানা নিগ্রহের অভিযোগ রুজু করে। ছয় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে অভিযোগ। এরমধ্যেই কিছু দিন পর নিম্ন আদালত থেকে জামিন পেয়ে যান ওই ছয় অভিযুক্ত। বাইকের লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত করে থানায় হাজিরার শর্তে তাঁদের জামিন দেয় নিম্ন আদালত।
তরুণীর আইনজীবী আত্রেয়ী হালদার জানিয়েছেন, জামিন পাওয়ার কিছুদিন পর থেকেই তাঁর মক্কেলকে ফোনে হুমকি দিচ্ছে ওই ছয় অভিযুক্ত, মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। যার জেরে আতঙ্কে রয়েছেন তরুণী ও তাঁর বন্ধু। আত্রেয়ী আরও জানিয়েছেন, হুমকি দেওয়ার ঘটনা পুলিসকে জানালেও কোনও ব্যবস্থা হয়নি। এমনকী বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতেও পদক্ষেপ করছে না পুলিস। বাধ্য হয়ে তাই এবার হাইকোর্টে ওই ছয় অভিযুক্তর জামিন বাতিলের দাবিতে মামলা করেছেন তরুণী। আগামী কাল শুক্রবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের এজলাসে মামলার শুনানির সম্ভাবনা।