দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় বা শেয়ার থেকে অর্থাগম যোগ। বিদ্যার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় শুভ ফল লাভ। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভট্টনগরের ঘুঘুপাড়ায় রয়েছে এই সারদামণি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বৃহস্পতিবার মিড ডে মিলের রান্নার আগেই দুর্ঘটনাটি ঘটে। সেই সময় রান্নার গ্যাস জ্বালিয়েছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা তাপসী গোস্বামী এবং সহ শিক্ষিকা এমিলি সাহা ব্রহ্ম। হঠাৎ সিলিন্ডারের সঙ্গে লাগানো পাইপটি ফেটে আগুন ধরে যায়। তাতেই অগ্নিদগ্ধ হন দুই শিক্ষিকা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে চলে আসেন স্থানীয় লোকজন এবং স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তাঁদের তৎপরতায় আগুন নিভিয়ে ফেলা সম্ভব হয়। যদিও পরে দমকলের একটি ইঞ্জিন ওই বিদ্যালয়ে এসেছিল। তারা সিলিন্ডারটি স্কুলের বাইরে বের করে দেয়। চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী স্মিতা গুহ বলে, যখন ঘটনাটি ঘটেছে, তখন প্রার্থনার জন্য ঘণ্টা পড়েছিল। সেই সময় দুই শিক্ষিকা গিয়েছিলেন রান্না ঘরে। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ হয়। তারপর দেখি দুই দিদিমণির গায়ে আগুন ধরে গিয়েছে। স্কুলের শিক্ষক সুকুমার ঘোষ বলেন, গ্যাসের পাইপ লিক ছিল, তা বোঝা যায়নি। তাই আগুন জ্বালাতেই পাইপের ফাটা অংশে আগুন ধরে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের কলকাতার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাপসীদেবী ৭০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন, আর এমিলিদেবীর শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, আরও বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত। সেই সময় বিদ্যালয়ে পড়ুয়াদের ভিড় ছিল যথেষ্ট। অগ্নিকাণ্ডের সঠিক কারণ জানতে তদন্ত শুরু করেছে দমকল।