আকস্মিক পত্নীর/ পতির স্বাস্থ্যহানিতে মানসিক চিন্তা। কাজকর্মে কমবেশি বাধা থাকবে। আর্থিক উন্নতি হবে। ... বিশদ
প্রচার করবেন বলে এদিন লোকাল ট্রেনে উঠেছিলেন সৃজন। সকালেই গড়িয়া ষ্টেশনে যান। প্ল্যাটফর্মে তখন অফিস টাইমের যাত্রীদের হুড়োহুড়ি। ভিড়ে ঘুরে অনেকের সঙ্গে কথা বলেন প্রার্থী। জিতলে কী করতে চান, তা তুলে ধরেন যাত্রীদের কাছে। তারপর ওখান থেকেই লোকাল ট্রেনে চেপে সোনারপুর ষ্টেশনে চলে যান। সেখানেও যাত্রীদের ঠাসা ভিড়। সৃজনকে দেখে অনেকে ট্রেনেই উঠলেন না। প্রচারে যোগ দিলেন। এক প্ল্যাটফর্ম থেকে সৃজন গেলেন অন্য প্ল্যাটফর্মে। উপস্থিত সব মানুষের সঙ্গে কথা বললেন। অফিস টাইমে থিকথিকে ভিড়ে লোকসভা ভোটের এক প্রার্থীকে হঠাৎ দেখে সবাই অবাক।
বামেদের দাবি, গ্রামে ভালোরকম সাড়া পাচ্ছেন সৃজন। একইভাবে স্টেশনেও তাঁকে ঘিরে স্বতঃস্ফূর্ততা ছিল চোখে পড়ার মতো। যাদবপুরের ভোটার নয় এমন অনেকে এগিয়ে গিয়ে সেলফি তোলেন তাঁর সঙ্গে। চার নম্বর প্ল্যাটফর্মে প্রচার করার সময় এক প্রবীণ মহিলা সৃজনকে ডেকে নিজের সমস্যার কথা শোনান। বৃদ্ধা বলেন, ‘ঘর নেই আমার। একটা যদি ব্যবস্থা করে দেওয়া যায়।’ আর এক জন যাত্রী প্রার্থীর পাশে গিয়ে হাল্কা স্বরে বলেন, ‘হারদহ, বেলেগাছিতে প্রচার করতে আসুন একবার।’ তখনই সৃজনকে দেখে অনেক মহিলা ভেবে বসেন, বোধহয় কোনও শ্যুটিং হচ্ছে। আর বাম প্রার্থীই সে সিরিয়ালের নায়ক। তাঁদেরই একজন কোনও শ্যুটিং হচ্ছে কি না জিজ্ঞাসা করেছিলেন। এদিন সৃজন যাত্রীদের বলেছেন, ‘ট্রেন নিয়ে একাধিক দাবি আমাদের এজেন্ডাতে আছে। যদি সাংসদ হতে পারি সেই দাবি পূরণ করার চেষ্টা করব।’ তারপর তিনি জানান, এই রুটে ক্যানিং, লক্ষ্মীকান্তপুর বা নামখানা পর্যন্ত ট্রেনের সংখ্যা বৃদ্ধির লক্ষ্য রয়েছে। সোনারপুর ষ্টেশনে আন্ডারপাস তৈরির পরিকল্পনাও আছে।