কর্মক্ষেত্রে অশান্তি সম্ভাবনা। মাতৃস্থানীয় কারও শরীর-স্বাস্থ্যের অবনতি। প্রেমে সফলতা। বাহন ক্রয়-বিক্রয়ের যোগ। সন্তানের বিদ্যা-শিক্ষায় উন্নতি।প্রতিকার— ... বিশদ
তবে কলকাতার এই বাজারগুলিতে শুধু যে কলকাতার বাসিন্দা বা আশপাশের শহরতলির মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন, তা নয়। রেললাইনে হাওড়া ও শিয়ালদহের সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে, দক্ষিণবঙ্গের এরকম জেলাগুলির প্রচুর মানুষ পুজোর কেনাকাটা করেন কলকাতা থেকে। যে দোকানের বিজ্ঞাপন দূর জেলার বাড়িতে টিভিতে দেখতে হয় সবসময়, পুজোর আগে তেমন কোনও নামকরা দোকান থেকে কিছু কেনাকাটার মধ্যে যে একটি আত্মতৃপ্তি থাকে, তা হাতিবাগানের নানা অংশের ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা থেকে হাতিবাগানে কেনাকাটার জন্য এসেছিলেন সপরিবার বিমল জানা। বিমলবাবু সদ্য অবসর নিয়েছেন সরকারি চাকরি থেকে। তাঁর সঙ্গে স্ত্রী ও মেয়ে। বিমলবাবু বলেন, কলকাতাতেই চাকরি করতাম। কিন্তু গ্রাম থেকে সবাইকে নিয়ে পুজোর কেনাকাটা কলকাতায় অনেক দিন করা হয়নি। এক ট্রেনেই যখন আসা যায়, তাই চলে এলাম। বড় বড় দোকান থেকে কিছু জিনিসপত্রও কিনলাম। পুজো বলেই স্পেশাল কিছু করা গেল আর কি! স্মিত হাসি মুখে বলেন বিমলবাবু। এখানে দেখা গেল, ভিড় নেমে এসেছে বিধান সরণীর উপর। তা সামাল দিয়ে যানবাহন পার করিয়ে দিতে রীতিমতো নাকানিচোবানি খেতে হচ্ছে পুলিসকর্মীদের।
নিউ মার্কেট চত্বরে যানবাহান ঢোকার কোনও সুযোগই ছিল না এদিন। এই অঞ্চলে বিভিন্ন বহুজাতিক শপিং মলের পাশাপাশি হকারদের স্টলও অসংখ্য। শুধু নিউ মার্কেট নয়, ভিড়ে জমজমাট ছিল পুরো ধর্মতলা চত্বর। জুতো, জুয়েলারির দোকানে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। পাটুলি থেকে নিউ মার্কেটে নিজেদের গাড়ি নিয়ে সপরিবারে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সুকোমল ভট্টাচার্য। গাড়ি পার্ক করতে গিয়ে নাস্তানাবুদ হয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, এরকম ভিড় হবে জানলে গাড়ি না এনে বাসে চলে আসতাম। গাড়ি রাখতেই তো এক ঘণ্টা সময় চলে গেল। গড়িয়াহাটে দক্ষিণ কলকাতার পাশপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কিছু অংশ থেকেও ট্রেনপথে বহু মানুষ পুজোর বাজার করতে আসেন। কেনাকাটা আর হইচই, রাস্তার পাশের রেস্টুরেন্টে টুলের উপর বসে পেটপুজো— সবকিছু নিয়ে গড়িয়াহাটও একইরকম জমজমাট। পুজোর আগে এই রবিবার এত ভিড় দেখে খুশি বিক্রেতারাও। নিউ মার্কেটের বস্ত্র ব্যবসায়ী প্রণয় সাহু বলেন, গত রবিবার বা তার আগেরটায়ও বৃষ্টি আর খারাপ আবহাওয়ার জন্য বাজার ভালো জমেনি। তবে আজ যা ভিড় আর কেনাকাটা হয়েছে, তাতে আগের খামতিও পুষিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। আরও দু’টো রবিবার পাওয়া যাবে পুজোর আগে। আবহাওয়া যদি সমস্যা না করে, তাহলে এবার বিক্রেতাদের লাভের ঝুলি উপচে পড়বে বলে আশাবাদী তাঁরা।